বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর

ভাণ্ডারিয়ায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন


প্রকাশিত:
১ মে ২০২৩ ০২:৫২

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১৫:২৫

শনিবার (২২ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার চরখালী থেকে ভাণ্ডারিয়া পযর্ন্ত মানবন্ধন করেন বিভিন্ন পেশার লোকজন।

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী ছবি ভাংচুর এবং জেপি মঞ্জু কর্তৃক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে, ১০ কি:মি রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভাণ্ডারিয়া বাসী। শনিবার (২২ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার চরখালী থেকে ভাণ্ডারিয়া পযর্ন্ত এ মানবন্ধন করেন স্থানীয় বিভিন্ন পেশার লোকজন।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল মারামারি অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে ভাণ্ডারিয়ার জেপির (মঞ্জু) এক কর্মী এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আওয়ামীলীগ ও তার অংগ সংগঠনের ৩৫ নেতা-কর্মীদের আসামী করা হয়।

এদিকে, জেপির সমর্থক কতৃর্ক আওয়ামীলীগ অফিসসহ, বঙ্গবন্ধুর ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর এবং ভাণ্ডারিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলামের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে ভাণ্ডারিয়াবাসী।

এছাড়াও মিথ্যা অভিযোগ এনে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ৩৫ নেতা-কর্মীর মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য একের পর এক মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করছে বিভিন্ন সংগঠন।

জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় জাতীয় পার্টি (জেপি)র নেতাকর্মীরা। এ সময় অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১৩ জন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করেই সোমবার রাত ৮টার দিকে জাতীয় পার্টির (জেপি) উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম উজ্জল, যুব সংহতি (জেপি) সভাপতি রিজভি জমাদ্দার ও সাধারণ সম্পাদক মামুন সরদারসহ ৫০/৬০ জন অজ্ঞাত যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। অফিসের ভেতরে থাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে নিচে ফেলে দেয়। এ সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে গেলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় ছাত্রলীগের তিনটি মোটরসাইকেল। এতে ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, হামলাকারীরা রাত পৌনে ৯টার দিকে কলেজ রোডে ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাসভবনের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করে চলে যায়। এ ঘটায় ভাণ্ডারিয়া থানায় দুইটি মামলাও হয়। মামলায় যাদের কথা উল্লেখ করেছেন তাদের অধিকাংশই ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

সূত্র জানায়, তেলিখালীতে একটি ইফতার অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় পার্টি (জেপি) দলীয় নেতাকর্মীরা ভান্ডারিয়ায় ফেরার পথে স্থানীয় ছাত্রলীগের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। মূলত জেপি নেতারা বিএনপি নেতার বাড়িতে বসে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে আজেবাজে মন্তব্য ও কটূক্তি করায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল। আর তাতেই জেপি নেতাকর্মীরা প্রথম দফায় তেলিখালি বসে ছাত্রলীগের ওপর হামলা করে। পরেই আবার ভাণ্ডারিয়া আওয়ামী লীগ অফিস এবং আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনে হামলা চালায়।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ৮ দিন আগে জেপির ইফতারকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করে জেপির কর্মীরা। এতে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ এর প্রতিবাদ করে। এর কিছু সময় পরে ভান্ডারিয়া জেপির (মঞ্জু) দলীয় নেতাকর্মীরা দফায় দফায় দেশীয় নানা ধারালো অস্ত্র নিয়ে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং লুটপাট করে। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে একই সন্ত্রাসীরা আমার বহুতল ভবনে হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালায় এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়।

ভান্ডারিয়া থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান জানান, এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ ও র‍্যাব মোতায়েন আছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top