গাজীপুরে ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫২ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি
প্রকাশিত:
২২ জুলাই ২০২৩ ১৮:১০
আপডেট:
২২ জুলাই ২০২৩ ১৮:৫০

গাজীপুরের আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার অন্যতম দুই বিশেষায়িত হাসপাতাল টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ৩৭ জন ও গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৩৭ জন নতুন রোগী ভর্তি করা হয়েছে।
আগে থেকেই চিকিৎসাধীন ছিল ৩৪ জন। শুক্রবার পর্যন্ত এ হাসপাতালে ১১০ রোগী ভর্তি হলেও ৩৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর ৭১ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদের ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। তবে কোনো রোগী মারা যায়নি।
গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, তাদের হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৫ জন রোগী নিয়ে মোট ৪৩ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
এখন পর্যন্ত ১৭৭ জন রোগীকে এ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে, কেউ মারা যায়নি।
গাজীপুর জেলার সিভিল সার্জন অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় ৩৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেলেও কোনো মৃত্যুর ঘটনা নেই। বর্তমানে জেলার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছেন ১৩৭ রোগী।
এর মধ্যে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন ৪৩ জন, টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭১ জন, কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন, শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২০ জন। গত ৭ দিনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৯০ জন।
গাজীপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান বলেন, হঠাৎ করেই মহানগরে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ছে। তবে আমরা মহানগরের দুটি বিশেষায়িত হাসপাতাল ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও চিকিৎসার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
ভালো খবর হলো জেলায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। চিকিৎসার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতেও কাজ করছি।
মহানগরে মশক নিধনের বিষয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. হান্নান বলেন, আমরা মহানগরকে ১০টি অঞ্চলে বিভক্ত করে মশক নিধন অভিযান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করছি। এছাড়া মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা চালাচ্ছি। সবাইকে সতর্ক করে নোটিশও দেওয়া হচ্ছে, এরপর যারা সতর্ক হবে না তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: