বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


চারদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে পঞ্চগড়


প্রকাশিত:
৬ জানুয়ারী ২০২৪ ১০:৩৪

আপডেট:
৬ জানুয়ারী ২০২৪ ১১:০৯

ফাইল ছবি

ভোরে রোদ ঝলমল করলেও শীতে কাঁপছে উত্তরের পঞ্চগড়। কনকনে শীত আর উত্তর-পশ্চিম হতে প্রবাহিত হিমেল হাওয়ায় জর্জরিত সীমান্ত জেলার মানুষ। জানুয়ারির ৪ তারিখ থেকে এই জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

তিনি জানান, গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও এ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, সেটি শীতকালের। বাতাসের গতি বেগ বেশি হলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে। আর দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকায় ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকেই দেশের উত্তরের জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। এর মধ্যে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ একদিন, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ৪ দিন রেকর্ড হয়েছে। তাপমাত্রা রেকর্ড হিসেবে দেখা যায়, ৫ জানুয়ারি ৮.৪ ডিগ্রি, ৪ জানুয়ারি ৮.৫, ৩ জানুয়ারি ৭.৪, ২ জানুয়ারি ১০.৭ ও ১ জানুয়ারি ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতো শনিবারেও কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে পূবালী সূর্য। তবে গতকালের তুলনায় সূর্যের আলোয় তেমন তেজ দেখা যায়নি। এতে করে হিমেল বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে রিকশা ভ্যানচালকসহ শ্রমজীবী মানুষগুলো। এতে করে কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনযাপন করছেন। বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে নিম্নআয়ের মানুষগুলোকে কাজে বের হতে দেখা গেছে।

এ অঞ্চলের বাসিন্দারা জানান, এখানে দিনের বেলায় রোদ থাকায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের কারণে শীত তেমন একটা বোঝা যায় না। কিন্তু বেলা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে বইতে শুরু করে ঠান্ডা বাতাস। এ কারণে সন্ধ্যার পর শীতের তান্ডব বেশি। রাত বাড়তে থাকলে বরফ হয়ে উঠে রাত। সারারাত কুয়াশার সঙ্গে শিশির বৃষ্টি ঝরে। সে শিশিরও বরফের মতো ঠান্ডা। ভোরে ভোরে সূর্য উঠে রোদ ছড়ালেও কনকনে শীতে হাতপা অবশ হয়ে আসছে। রাতে খুব ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

এদিকে শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, ক্রনিক শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top