রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১


কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা, ৮ বছর পর বেনজীরসহ ৯ জনের নামে মামলা


প্রকাশিত:
২৮ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৪৬

আপডেট:
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:১৮

ফাইল ছবি

জয়পুরহাটে র‍্যাব হেফাজতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শাফিনুল ইসলাম শাফিনকে (৩০) হত্যার আট বছর পর আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে। নিহতের বাবা নজরুল ইসলামের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত পুলিশকে ৯ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাতে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ করা হয়।

বিচারক মো. মজিবুর রহমান শুনানি শেষে এক নম্বর থেকে ৯ নম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অভিযোগটি জয়পুরহাটের এসপির কাছে পাঠিয়েছেন। ওই ধারা অনুযায়ী ৯ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ, জয়পুরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মোল্লা নজরুল ইসলাম, জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্পের সাবেক অধিনায়ক মেজর হাসান আরাফাত, একই ক্যাম্পের ডিএডি মো. ফিরোজ আলী খান, এসআই এনামুল হক, ডিএডি মাহফুজার রহমান, সদর থানার এসআই দেবাশীষ নন্দী, র‌্যাবের নায়েক হাবিবুর রহমান ও কনস্টেবল মেহেদী হাসান।

আদালতে করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে শাফিনুল ইসলামকে ঢাকার উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর সড়কের তৃতীয় তলার বাসা থেকে র‍্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন। এ সময় র‍্যাব সদস্যরা শাফিনুলকে যথাসময়ে আদালতে সোপর্দ করবেন নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন।

২০-২৫ দিন ধরে র‍্যাব অফিস, থানা, ডিবি অফিস, আদালতে শাফিনুলের খোঁজ মেলেনি। শাফিনুলকে আইনি সুরক্ষা দিতে ১০ নম্বর থেকে ২৫ নম্বর পর্যন্ত প্রত্যেকেই পতিত স্বৈরশাসক সরকারের নেতাকর্মী ও দোসর। তাদের কাছে ধরনা ও চাহিদা মাফিক অর্থ দেওয়ার পরও শাফিনুলকে ছেড়ে দেওয়া বা আদালতে সোপর্দ করা হয়নি। আসামিরা র‍্যাব হেফাজতে রেখে গুলি করে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

দীর্ঘ একমাস বেআইনিভাবে হেফাজতে রেখে ওই বছরের ২৬ অক্টোবর রাত ৩টায় জয়পুরহাট সদর থানার পাকার মাথা দাদরা জন্তি মেসার্স মামুন ফিলিং স্টেশনের উত্তর পাশে শাফিনুলকে এসএমজি ও শটগানের পাঁচটি করে ১০ রাউন্ড গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার দায় এড়াতে দুই নম্বর আসামি তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) মোল্লা নজরুল ইসলাম জয়পুরহাট থানায় নিহত শাফিনুলসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top