বিজিবির প্রতিবাদের মুখে সিসি ক্যামেরা অপসারণের সিদ্ধান্ত বিএসএফের
প্রকাশিত:
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪০
আপডেট:
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৭

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় বাঁশজানি সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জেরে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিজিবির জোরালো অবস্থান ও তীব্র প্রতিবাদের মুখে সীমান্ত থেকে ক্যামেরা অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসএফ।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেরা ১১টায় জোড়া মসজিদের কাছে বাংলাদেশ পার্শ্বে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টার বৈঠকে জোড়া মসজিদ ও সিসিটিভি ক্যামেরা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান এবং ভারতের পক্ষে গাড়ল জোড়া ক্যাম্পের বিএসএফ-১৬২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার শ্রী অনিল কুমার নেতৃত্ব দেন।
জানা যায়, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় পাথরডুবি ইউনিয়নের কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন-২২ বিজিবির দিয়াডাংগা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৯৭৮/৯-এসের কাছে সীমান্ত শূন্য লাইন হতে পাঁচ গজ ভারতের অভ্যন্তরে জোড়া মসজিদ নামক স্থানে প্রতিপক্ষ ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ছোট গাড়ল জোড়া ক্যাম্পের সদস্যরা একটি ইউক্যালিপটাস গাছের সঙ্গে বাংলাদেশের দিকে মুখ করে একটি সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করে। বিষয়টি বিজিবির নজরে আসলে কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান প্রতিপক্ষ ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডারকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানান।
গাড়ল জোড়া ক্যাম্পের বিএসএফ-১৬২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার শ্রী অনিল কুমার বলেন, শূন্য লাইনে নির্মিত জোড়া মসজিদ এলাকার নিরাপত্তা বিষয়টি বিবেচনা করে বর্ণিত সিসি ক্যামেরাটি স্থাপন করা হয়েছে। প্রতি উত্তরে কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক স্থাপনকৃত সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যাপারে জোরালো প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলার জন্য আহ্বান জানান। বিজিবির জোরালো অবস্থানের কারণে ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সিসিটিভি ক্যামেরাটি খুলে ফেলার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পতাকা বৈঠকে জোড়া মসজিদ এলাকায় শূন্যরেখায় নির্মিত টিনের স্থাপনা খুলে ফেলতে এবং সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবৈধ পাকা স্থাপনা তৈরি না করাসহ উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: