মেয়ের দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় বাবা গ্রেফতার
প্রকাশিত:
১৫ মার্চ ২০২৫ ১৭:৪২
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ২৩:২১

মেহেরপুরের গাংনীতে মেয়ের দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় বাবা আশারুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার করমদি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আশারুল ইসলাম করমদি কাজীপাড়ার আয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ মার্চ তারিখে ভুক্তভোগী নারী গাংনী থানায় হাজির হয়ে এজাহার দায়ের করেন যে, তার বাবার বাড়িতে বসবাসকালে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার সময় রাতের খাওয়া শেষ করে যার যার ঘরে দরজা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ওই দিন দিবাগত রাত দুইটার দিকে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে কারও স্পর্শ অনুভব হওয়ায় তার ঘুম ভেঙে যায়। সে ঘুম থেকে উঠে তার মোবাইলের আলোতে দেখে যে, তার বাবা আশারুল হক তার বিছানায় বসে আছে। সে তাকে জিজ্ঞাসা করে ‘আব্বু তুমি এতো রাতে এখানে কি করো’ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আসামি কোনো কথা না শুনে তার বুকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক উপর্যুপরি ধর্ষণ করে।
ধর্ষণ শেষে আসামি তার নিজ কক্ষে চলে যায়। সে তার বাবার এহেন কাজের ফলে জ্ঞান শূন্য হয়ে নিজেকে ছয় দিন র্পযন্ত ঘরে বন্দি করে রাখে। ভুক্তভোগীর মা তাকে ঘর থেকে বের না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি তার মাকে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলেন। তার মাকে জানায় এর আগেও তার বাবা আসামি আশারুল হক বিভিন্ন সময়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতো কিন্তু লজ্জায় এ কথা কাউকে বলতে পারেনি। পরবর্তীতে গত ১৪ মার্চ থানায় এসে ভিকটিম এজাহার দায়ের করলে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু পূর্বক সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ওই নারী। ওই মামলার আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: