মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলা
সাক্ষ্য দিতে না আসায় ঢামেকের দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
প্রকাশিত:
৬ মে ২০২৫ ১৬:৫২
আপডেট:
৬ মে ২০২৫ ২১:০৩

মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়ায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) মামলার সাক্ষগ্রহণের সপ্তম দিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের ওই দুইজন চিকিৎসক আদালতে হাজির না হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) এম জাহিদ হাসান এ আদেশ দেন।
আগামীকাল বুধবার (৭ মে) আবারও সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগেও ওই দুজন চিকিৎসক আদালতে হাজির হননি। ফলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মাগুরার চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার সপ্তম কার্যদিবসে ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. মমতাজ আরা এবং ডা. দেবীকা রায়কে সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য তলব করা হয়। কিন্তু তারা আদালতে না আসায় আগামীকাল আবারও দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে দুই বার তলব করার পরও তারা আসেননি বলে আজ তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য প্রসেস (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা) দেওয়া হয়েছে।
গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার কাজ শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী শিশুটি। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়। মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: