মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ
প্রকাশিত:
৭ মে ২০২৫ ১৭:৩২
আপডেট:
৮ মে ২০২৫ ০৮:৪২

মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (৭ মে) জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের দুই চিকিৎসকের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার শুনানি শেষ হয়।
এর আগে, জেলা কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে আনা হয়। এ পর্যন্ত মামলার বাদীসহ মোট ২৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৩৪২ ধারায় আসামির পরীক্ষার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মাগুরার চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ অষ্টম কার্যদিবসেই শেষ হলো। বুধবার শেষ দিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের দুই চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুনানি শেষ হয়। এ নিয়ে মামলার বাদীসহ মোট ২৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হলো। বৃহস্পতিবার ৩৪২ ধারায় আসামির পরীক্ষার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার কাজ শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী শিশুটি। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়। মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: