শিক্ষার স্বপ্নে এসেছিল রাজধানীতে, ফিরে গেলো কফিনে
প্রকাশিত:
২২ জুলাই ২০২৫ ১৭:৩৯
আপডেট:
২৩ জুলাই ২০২৫ ০৩:২৫

রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া কলেজ পাড়ার কিশোর উক্য চিং মারমা রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা করত। শিক্ষক বাবা উসাইমং মারমা স্বপ্ন দেখেছিলেন—ছেলেটি বড় হয়ে হবে শিক্ষিত ও আলোকিত মানুষ। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন শুধুই কান্না আর শোকগাথায় পরিণত হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলে নিহত হয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র উক্য চিং মারমা। এ ঘটনায় পুরো দেশ শোকাহত, ঠিক তেমনি কেঁদেছে রাঙামাটির রাজস্থলীও।
উক্য চিং মারমা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি মাধ্যম শাখার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবা উসাইমং মারমা রাজস্থলী উপজেলা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর ১টার দিকে একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনাবশত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এতে দগ্ধ হয় উক্য চিং। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলেও শরীরের শতভাগ পুড়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানে এই পাহাড়ি কিশোর।
রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উক্য চিং মারমার মাসি (খালা) নেলী মারমা। তিনি জানান, তার অবস্থা ভালো ছিল না। ডাক্তাররা প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা জানান, উক্য চিং সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টায় মারা গেছে। আজ সকালে তার বাবা-মা লাশ নিয়ে রাজস্থলীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নিহতের দাদা কমহ্লাপ্রু মারমা জানান, উক্য চিং-এর মরদেহ নিজ গ্রাম বাঙ্গালহালিয়ায় দাহ করা হবে। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ডিএম /সীমা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: