অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের কারণে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মূলহোতা গ্রেপ্তার
প্রকাশিত:
১৬ আগস্ট ২০২৫ ১৬:২০
আপডেট:
১৬ আগস্ট ২০২৫ ১৮:০৪

অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের কারণে ৪০ মিনিট আটকে থাকার পর এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের প্রধান সবুজ দেওয়ানকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৮)।
শনিবার (১৬ আগস্ট) শরীয়তপুর সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দী গ্রামের সেলিম শেখের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নূর হোসেন সরদার তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গত ১৪ আগস্ট দুপুরে শরীয়তপুরের নিউ মেট্রো ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিকে ভর্তি করান। ওইদিন বিকেলে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। নবজাতক অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সন্ধ্যার পরে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে তারা ভাড়া করা একটি অ্যাম্বুলেন্সে উঠলে, সবুজ দেওয়ানসহ কয়েকজন তাদের গাড়ির গতিরোধ করে। স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করার জন্য তারা চাপ সৃষ্টি করে এবং ভাড়া করা ঢাকাগামী অ্যাম্বুলেন্সের চাবি নিয়ে নেয়। প্রায় ৪০ মিনিট জোরপূর্বক আটকে রাখার কারণে শিশুটিকে সময়মতো উন্নত চিকিৎসায় নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই শিশুটি মারা যায়।
এ ঘটনায় ১৬ আগস্ট পালং নুর হোসেন সরদার মডেল থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে র্যাব-৮ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার ভোরে বেড়া চিকন্দী গ্রামের সেলিম শেখের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে র্যাব-৮-এর কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর অপরাধীদের গ্রেপ্তারে তৎপর হই। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার মূলহোতা সবুজ দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করে পালং মডেল থানায় হস্তান্তর করি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমরা প্রস্তুত আছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: