ফের আন্দোলনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চাকরিচ্যুত স্থানীয় শিক্ষকরা
প্রকাশিত:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৪৬
আপডেট:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ২০:৩৪

আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আবারও আন্দোলন নেমেছেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম থেকে চাকরিচ্যুত স্থানীয় শিক্ষকরা। সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৭টা থেকে উখিয়ার কোটবাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন প্রায় দেড় হাজার চাকরিচ্যুত শিক্ষক।
এ সময় আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে উখিয়া-টেকনাফ মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জনদুর্ভোগ বিবেচনায় আন্দোলনকারীরা আজকের মতো কর্মসূচি শেষ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে তারা আগামীকালও কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম শামীম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা অনেকবার আন্দোলন করেছি, শুধু আশ্বাস পেয়েছি। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এটা আমাদের শেষ পদক্ষেপ, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।
আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে অংশ নেওয়া ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সাবেক সমন্বয়ক জিনিয়া শারমিন রিয়া বলেন, এটি আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্ন। স্থানীয় ভাই-বোনের অধিকারের দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছি আমরা। অনতিবিলম্বে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সাঈফ উদ্দিন শাহীন।
তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি ১৫০ জনের ব্যবস্থা হয়েছে। একটি এনজিও তাদের চাকরির ব্যবস্থা করেছে। বাকিদের জন্যও আবেদন করা হয়েছে। তবে তাদের আরও কিছু দাবি আছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ডমেসটিক বিষয়গুলো আরআরআরসি ও ইউনিসেফের দায়িত্ব। কিন্তু যাদের কাছে যাওয়া দরকার, সেখানে না গিয়ে তারা এখানে রাস্তায় আন্দোলন করছেন, সড়ক অবরোধ করছেন। এটা ঠিক নয়।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আশ্রয়শিবিরে সাড়ে চার হাজারের অধিক শিক্ষাকেন্দ্র চালু আছে। এসব ‘লার্নিং সেন্টারে’ প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার শিশু পড়াশোনা করে।
প্রসঙ্গত, গত জুনে তহবিল সংকটের কারণ দেখিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ছাঁটাইয়ের কথা জানায় জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শিশু জরুরি তহবিল (ইউনিসেফ)।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: