উত্তরা ইপিজেডে সংঘর্ষের ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদার
প্রকাশিত:
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:২৪
আপডেট:
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:২৫

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক-যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষের পরপরই সেখানে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি যৌথভাবে কাজ করছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন শ্রমিক নিহত হন।
এ ছাড়া, আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজন নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতের নাম হাবিব ইসলাম (২০)। তিনি নীলফামারী সদরের সংগলশী ইউনিয়নের কাজীরহাটের দুলাল হোসেনের ছেলে এবং ইপিজেডের ইকো কোম্পানির কর্মী।
শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রীন কারখানাতে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে তারা দুই দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। সোমবার দিবাগত রাতে হঠাৎ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠান বন্ধের নোটিশ দেয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দেন।
নীলফামারী ব্যাটালিয়ন ৫৬ বিজিবির লেফট্যানেন্ট কর্নেল এস এম বদরুদ্দোজা সাংবাদিকদের বলেন, উত্তরা ইপিজেডের ঘটনায় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি যৌথভাবে কাজ করছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রশাসনিক পর্যায়ে কার্যক্রম চলছে এবং সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে এভারগ্রীন কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিশে জানিয়েছে, টানা আন্দোলনের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯-এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি ২ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী নোটিশে পুনরায় চালুর কথা জানানো হবে।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা ২০ দফা দাবি তুলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, উৎপাদন টার্গেট কমানো, ওভারটাইম নিশ্চিত করা, ছুটি যথাযথভাবে দেওয়া, বেতন ও ভাতা সময়মতো পরিশোধ, আবাসন ও প্রমোশনের সমস্যা সমাধান, সকাল ৭টার আগে ডিউটি না রাখা, গর্ভবতী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ করা এবং ক্ষুদ্র বিষয়কে কেন্দ্র করে চাকরিচ্যুত না করা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: