কক্সবাজার সমুদ্রে নিখোঁজ
মুশফিকুর রহিমের ভাতিজার মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশিত:
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৩২
আপডেট:
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:১৭

কক্সবাজার সমুদ্রে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া পর্যটকের মরদেহ ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত জুহায়ের আয়মান আহনাফ বগুড়া পৌরসভার কাটনারপাড়া ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামের সন্তান। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য মুশফিকুর রহিমের ভাতিজা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় সমিতি পাড়া এলাকা সংলগ্ন সৈকত থেকে আহনাফের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল।
পর্যটন শাখার দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার) মোহাম্মদ আজিম খান বলেন, বগুড়া থেকে ভ্রমণে আসা তিন কলেজ শিক্ষার্থী গতকাল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসলে নামেন। এ সময় ঢেউয়ের ধাক্কায় তিনজন সাগরে ডুবে যান। লাইফগার্ড সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করলেও একজন নিখোঁজ ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, গতকাল তার সন্ধানে গভীর রাত পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস ও লাইফ গার্ডের যৌথ তল্লাশি চালিয়েছে। আজ ভোরে মরদেহ পাওয়া যায়।
আহনাফের মামা মোহাম্মদ মোজাহিদুর রহিম বলেন, মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের আবেদন করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। তাই এর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ বগুড়া নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিপদগ্রস্তদের উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত থাকা সি সেইফ লাইফগার্ডের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ আহমদ বলেন, সৈকতের কয়েকটি স্থানে গুপ্তখাল রয়েছে। সৈকতের লাবণী পয়েন্টের যে স্থান থেকে এই পর্যটক নিখোঁজ হন, সেখানে লাল পতাকা দিয়ে বিপজ্জনক স্থান বুঝিয়ে সতর্কতা করা ছিল আগে থেকেই। তাই পর্যটকদের সমুদ্র সৈকতে গোসলে নামার আগে লাইফগার্ডের সতর্কতা মেনেই নামা উচিত।
এর আগে গত ৮ জুলাই মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তিন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও অরিত্র হাসান নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার হয়নি দুই মাসেও।
গত এক বছরে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন পর্যটক। সি সেইফ লাইফ গার্ডের তথ্য বলছে এই সময়ে ৭৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: