শনিবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত
ভাঙ্গায় বিএনপির শান্তি মিছিল
প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:২৭
আপডেট:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৪৩

ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে নিয়ে ফরিদপুর-২ এ যোগ করার প্রতিবাদ এবং গতকালের নাশকতাকারীদের বিচারের দাবিতে ভাঙ্গায় শান্তি মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি। এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভাঙ্গা বাজার বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে এ মিছিলটি বের করা হয়।
এদিকে আজ দুপুর ১২টা থেকে আগামী শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
মিছিলটি ভাঙ্গা বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ভাঙ্গা এক্সপ্রেস দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত বিভিন্ন সড়ক অতিক্রম করে। পরে ভাঙ্গা বাজার বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ করে বিএনপি।
সমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী বলেন, শুরু থেকেই ভাঙ্গার আন্দোলনের সাথে বিএনপি জড়িত ছিল এবং নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি উচ্চ আদালতে যাওয়ার পর আমরা আন্দোলনে ছিলাম না। তবে এর মধ্যে ফ্যাসিস্টদের দোসররা ঢুকে গতকাল সোমবার ভাঙচুর করে এ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। আমরা এ ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, শুধু ভাঙ্গা উপজেলা ফরিদপুর-৫ নামে একটা সংসদীয় আসন ছিল। ২০০৮ সালে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন ভাঙ্গা, সদরপুর এবং চরভদ্রাসন নিয়ে আসন গঠন করে ফরিদপুর-৪ নামে। সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নটি ফরিদপুর-২ আসনের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়। তখন থেকেই আমরা ফরিদপুরের পাঁচটি আসন ফিরে পাওয়ার জন্য আন্দোলন করে আসছিলাম। কিন্তু বর্তমান ইসি গত ৪ সেপ্টেম্বর ভাঙ্গার দুটি ইউনিয়ন আলগী ও হামিরদী কেটে নগরকান্দা-সালথা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ এর মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমরা অভিন্ন ভাঙ্গা চাই এবং আমাদের কেটে নেওয়া দুটি ইউনিয়ন ভাঙ্গায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাই। পাশাপাশি বলতে চাই ফরিদপুরের পাঁচটি আসন রক্ষার আমাদের যে আন্দোলন তা অব্যাহত আছে।
মোদাররেস আলী আরও বলেন, এ ব্যাপারে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আশা করি ওই দিন আমরা ন্যায়বিচার পাব।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব মোল্লা এবং ভাঙ্গা বাজার শাখার এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক মো. আশরাফ।
আন্দোলন তিন দিনের জন্য স্থগিত
আন্দোলনকারীরা জানান, জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে ও দুর্গাপূজার পূর্বের প্রস্তুতি উপলক্ষ্যে মানুষের ভোগান্তি যাতে না হয় আজ সোমবার দুপুর ১২টার পর থেকে রাস্তা ছেড়ে দেওয়া হয়। আগামীকাল বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কোনো অবরোধ থাকবে না। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যদি কাউকে হয়রানি করার চেষ্টা করে সে ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আগামী রোববারের (২১ সেপ্টেম্বর) মধ্যে জেলা প্রশাসন যদি তাদের ৫ দফা দাবি মেনে না নেয় তবে আবার লাগাতার আন্দোলন শুরু হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে নেওয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: