বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


মিরসরাইয়ে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫


প্রকাশিত:
২ জানুয়ারী ২০২৩ ০৫:৫৩

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ২১:১৫

ছবি সংগৃহিত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয়োজনকে কেন্দ্র করে রোববার (০১ জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে মুক্তিযোদ্ধা হোটেলের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় গুলিবিদ্ধসহ দুপক্ষের অন্তত ১৫ আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা সবাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মী।

সংঘর্ষে আহত নেতাকর্মীরা হলেন—জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহেদ বিন কামাল, সাধারণ সম্পাদক সেফায়েত হোসেন, ছাত্রলীগের কর্মী আবদুর রহমান (১৮), সাইফুদ্দিন রিফাত (১৭), আমজাদ হোসেন (২১), রাহুল বড়ুয়া (২৪), মো. তারেক হোসেন (২৬), মিরাজ আকবর (২০), সরোয়ার হোসেন (২২), কাউসার আহমেদ (৩০) ও যুবলীগের কর্মী রিয়াজ উদ্দিন (৩৬)। তারা সবাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২২ ডিসেম্বর থেকে মিরসরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ১০ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হয়। আজ মেলার শেষ দিন।

মেলার আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন রেজাউল করিম। তিনি জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। মেলা শেষ হওয়ার পর ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে রেজাউল করিমের অনুসারীদের সঙ্গে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাইনুদ্দিন টিটুর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়।

এ সময় ছররা গুলিতে ৭ জনসহ ১৫ জন আহত হন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ সাতজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেজাউল করিম বলেন, বিজয় মেলাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি করতে না পারায় মাইনুদ্দিন টিটুর অনুসারীরা মেলার সঙ্গে যুক্ত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। তাদের গুলিতে দলীয় নেতা-কর্মীরা আহত হন। আহত নেতা-কর্মীদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে মাইনুদ্দিন টিটু বলেন, শনিবার ভোররাতে জোরারগঞ্জ বাজারের মুক্তিযোদ্ধা হোটেলের সামনে চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের অনুসারীরা আমার কিছু ছেলেদের ওপর প্রথমে হামলা করেন। পরে প্রতিরোধ করতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চেয়ারম্যানের অনুসারীদের হাতে মারধরে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী পাঁচ ছেলে আহত হয়েছেন। এ সংঘর্ষের সঙ্গে আমি কোনোভাবেই যুক্ত নই।

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আদিত ইসমাইল বলেন, জোরারগঞ্জে মেলা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় ১০-১৫ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে গুলিবিদ্ধ সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top