শুক্রবার, ১৪ই মার্চ ২০২৫, ২৯শে ফাল্গুন ১৪৩১


ব্যাংকগুলোকে গত ১৫ বছরে ‘ক্রিমিনাল ইনস্টিটিউট’ করা হয়েছে


প্রকাশিত:
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৩

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ০১:৫৭

ছবি সংগৃহীত

ব্যাংকগুলোকে গত ১৫ বছরে ‘ক্রিমিনাল ইনস্টিটিউট’ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম : বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান শীর্ষক নীতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংকগুলোকে গত ১৫ বছরে ক্রিমিনাল ইনস্টিটিউট হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংককে ধ্বংস করা হয়েছে। ব্যাংক আইনে দুর্বৃত্তায়ন করা হয়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) ধ্বংস করা হয়েছে ১৫ বছর ধরে। ১২ হাজার কোটি টাকার কাজ করে মাত্র ১৪২ জন। উপকারভোগীদের সংখ্যা ১ কোটি। শুনতে ভালোই লাগছে। কিন্তু আমরা যখন প্রাথমিকভাবে যাচাই করেছি, দেখলাম ৪৩ লাখ ভুয়া। আমার ধারণা, এটি এক্সট্রা লেভেলে যাচাই করলে আরো ২০-২৫ লাখ ভুয়া পাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা টিসিবির টেন্ডারে অংশ নেন না। আমি অনুরোধ করছি আপনারা অংশ নিন।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিযোগিতা কমিশনকে পুরোপুরি স্বাধীন করে দিতে চাই। বাজারে যাতে প্রতিযোগিতা বিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড না ঘটে। মন্ত্রণালয়ের সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ যেন না থাকে, সেদিকে আগাতে চাই। ধান সংগ্রহে সরকারি সংগ্রহটা সীমিত করতে চাই। সরকারি সংগ্রহটা আমদানি নির্ভর হওয়া উচিত। তাহলে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে এবং দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমার মনে হয় শেখ হাসিনার নামে একটা পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া দরকার। কারণ বায়তুল মোকাররমের খতিবের যদি পালিয়ে যাওয়া লাগে, তাহলে বুঝতে হবে কী পরিমাণ ধ্বংস করা হয়েছে সবগুলো খাত। আমাদের নীতিগুলো ধনিক শ্রেণিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য হয়েছে। ভোক্তা বা সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব নীতি গ্রহণ হয় না। বিগত ১৫ বছর দেশে উল্লেখযোগ্য কোনো বিনিয়োগ হয়নি। যদি সেটি না হয় তাহলে কর্মসংস্থান কীভাবে হবে? আমরা কার কাছ থেকে কর আদায় করব?

বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, অর্থনীতিবিদ, লেখক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন চেয়ারপারসন এএইচএম আহসান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন চেয়ারম্যান (সচিব) ড. মইনুল খান, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির মূলনীতি অনুযায়ী বাজারে প্রতিযোগিতা থাকবে, ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা বেশি হবে এবং তথ্য উন্মুক্ত থাকবে। কিন্তু বাস্তবে বাজার কয়েকটি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে, প্রতিযোগিতাও নেই। এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিশন ও সরকারেরও দায় আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top