বাংলাদেশে কিডনি প্রতিস্থাপনসহ অনেক জটিল অপারেশন হচ্ছে
প্রকাশিত:
৩ এপ্রিল ২০২৩ ২২:৩০
আপডেট:
১১ এপ্রিল ২০২৫ ১০:২৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ চিকিৎসায় ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। দেশ এখন কিডনি প্রতিস্থাপনসহ অনেক জটিল অপারেশন করতে সক্ষম হয়েছে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর শরফুদ্দিন আহমেদ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। সরকার জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
চিকিৎসকদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। দেশে এখন অনেক জটিল অপারেশন সম্ভব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, সহকারী প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, এনেস্থেশিয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুজ্জামান সজিব, দেশের প্রথম ব্রেনডেথ রোগী হিসেবে কিডনি ও কর্নিয়াদানকারী সারা ইসলামের মা শবনম সুলতানা ও কিডনি প্রতিস্থাপন রোগী শামীমা আক্তার।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি বিএসএমএমইউ হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল ক্লিনিক্যালি মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত কিডনি দুই রোগীর মধ্যে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন। এটি ছিল দেশে প্রথম ক্যাডেভারিক কিডনি প্রতিস্থাপন।
তারা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা ২০ বছর বয়সী রোগী সারা ইসলামের কাছ থেকে কিডনি নিয়েছিল এবং ১৮ জানুয়ারি বিকেলে ক্লিনিক্যালি মৃত ঘোষণা করেছিল। সারার মা অপারেশনে সম্মতি দেওয়ার পর কিডনি সংগ্রহ করা হয়।
২০১৮ সালে, অঙ্গ দান আইনটি সংশোধিত হয়েছিল; যা সংশ্লিষ্ট আত্মীয়দের সম্মতিতে চিকিৎসাগতভাবে মৃতদের কাছ থেকে অঙ্গ সংগ্রহের অনুমতি দেয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: