চীনের ‘গোয়েন্দা বেলুন’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বিস্ফোরক তথ্য
প্রকাশিত:
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০২:২১
আপডেট:
২২ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৪৬

যুক্তরাষ্ট্রের মন্টেনা রাজ্যে ফেব্রুয়ারির শুরুতে বিশালাকৃতির একটি সাদা বেলুন উড়তে দেখা যায়। মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর নজরদারি চালাতে বেলুন পাঠিয়েছেন চীন। যা গত ৪ ফেব্রুয়ারি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ভূপাতিত করেন মার্কিন বিমান সেনারা।
এরপর এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ব রাজনীতি। বেলুন ইস্যু নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন তার চীন সফর পর্যন্ত বাতিল করেন। তারা দাবি করতে থাকেন, নজরদারি চালাতে ইচ্ছে করে বেলুন পাঠিয়েছে বেইজিং।
তবে নিজেদের ওই দাবি নিয়ে এখন সুর বদল করেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। তারা জানিয়েছেন, চীন আসলে ইচ্ছেকৃতভাবে ওই বেলুন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়নি। বেলুনগুলোর গন্তব্য ছিল গুয়াম এবং হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ। বেলুনটি বাতাসে উড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখন্ডের ভেতর চলে আসে।
মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ওই গোয়েন্দা ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, বেলুনটি উড়ানো হয়েছিল চীনের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল হাইনান দ্বীপ থেকে। উড্ডয়নের পর থেকেই বেলুনটির ওপর নজর রাখছিল যুক্তরাষ্ট্র। এটির গন্তব্য ছিল গুয়াম ও হাওয়াই। কিন্তু ঝড়ো বাতাসের কারণে গতিপথ থেকে সরে যায়। প্রথমে এটি প্রবেশ করে আলাস্কার অ্যালুয়েশিয়ান দ্বীপপুঞ্জে, এরপর যায় কানাডায়। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মন্টেনায়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র নজরদারির অভিযোগ তোলার পরই তা প্রত্যাখ্যান করে বেইজিং। তারা জানায়, বেলুনটি তাদেরই— কিন্তু এটি একটি ওয়েদার ডিভাইস (আবহাওয়া যন্ত্র) এবং ভুলক্রমে বাতাসে ভেসে এটি যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছে।
মার্কিন বিমান সেনারা যখন এটি ভূপাতিত করেন তখন এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল চীন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: