মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


রাখাইনে মোখার আঘাতে অন্তত ৪০০ জনের প্রাণহানি


প্রকাশিত:
১৬ মে ২০২৩ ২১:১২

আপডেট:
২২ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:২৪

 ফাইল ছবি

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে মিয়ানমারের রাখাইনে কয়েকশ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় একটি সাহায্যকারী সংস্থা ও একজন রোহিঙ্গা অধিকারকর্মীর বরাতে মঙ্গলবার (১৬ মে) এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংস্থাটি বলেছে, রাখাইনে কয়েকশ মানুষ নিহত হওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পার্টনার্স রিলিফ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নামের এ সাহায্যকারী সংস্থাটি রাখাইন রাজ্যে নিজেদের কার্যক্রম চালায়। তারা জানিয়েছে, রাজধানী সিট্যুয়ের কাছে যেসব রোহিঙ্গা বসবাস করেন সেসব রোহিঙ্গা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ে তাদের আশ্রয় ক্যাম্পগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরই ‘কয়েকশ মানুষের মৃত্যুর খবর’ পাওয়া গেছে।

অপরদিকে রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী অং কো মো টুইটে বলেছেন, শুধুমাত্র রাজধানী সিট্যুয়েতেই ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী ছাড়াও তিনি ইউনিটি সরকারের মানবাধিকার বিষয়কমন্ত্রীর দায়িত্বেও রয়েছেন। তিনি ধ্বংসপ্রাপ্ত কিছু ভবনের ভিডিও প্রকাশ করেন। তবে ভিডিওতে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

মোখার আঘাতে রাখাইন কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটি স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবি থেকে কিছুটা আন্দাজ করা যাচ্ছে।

ম্যাক্সার স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রাখাইনের রাজধানী সিট্যুয়ের ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী অবস্থা। উপরের ছবিটি এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তোলা হয়েছিল। আর নিচের ছবিটি ঘূর্ণিঝড়ের পরে তোলা হয়।

প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে গত রোববার (১৪ মে) বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আঘাত হানে মোখা।

২৫০ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন ঝড়ো বাতাস নিয়ে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পরের দিন, সোমবার রাতে দেশটির সামরিক জান্তা রাখাইনকে ‘দুর্যোগ এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে রাখাইনে মোবাইল টাওয়ার, গাছ-পালা এবং ঘর-বাড়ির ছাদ, টিনের চালা উড়ে যায়।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের কারণে রাখাইনের অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাকারী সংস্থা কর্ডিনেশন অব হিউমেনিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ইউএনওসিএইচএ) জানিয়েছে, রাখাইনের রাজধানী সিট্যুয়া এবং এর আশপাশের অঞ্চলগুলো ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোমবার এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে ইউএসওসিএইচএ বলেছে, ‘প্রাথমিক তথ্য দেখাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশাল। এছাড়া গৃহযুদ্ধের কারণে যেসব মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন তাদের আরও বেশি সাহায্যের প্রয়োজন হবে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি যে পথে গিয়েছে সে পথে প্রায় ২ লাখ মানুষ বসবাস করতেন। যার মধ্যে রয়েছেন রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীয়। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী দমন-পীড়ন শুরু করলে অনেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। আবার অনেকে রাখাইনেই থেকে যান। যারা রাখাইনে ছিলেন তাদেরও বেশিরভাগ এখন আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top