বললেন গাজার নারী
কয়েকদিন পর ‘আমরা হয়ত বালু খাব’
প্রকাশিত:
২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:১৫
আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:০১

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ৬০দিন ধরে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। এই সময়ে গাজায় কোনো খাবার, জ্বালানি, ওষুধ প্রবেশ করতে দেয়নি দখলদাররা।
অবরোধের কারণে গাজার মানুষ এখন টিনজাত শাকসবজি, ভাত, পাস্তা ও মশুর ডাল খেয়ে বেঁচে আছেন। সেখানে এখন মাংস, দুধ, পনির অথবা ফল পাওয়া যায় না। রুটি আর ডিমও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে।
বাজারে যেসব সবজি ও পণ্য পাওয়া যায় সেগুলোর দামও আকাশ ছোঁয়া। এতে অনেক মানুষ খাবার কিনে খাওয়ার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছেন।
ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো জানিয়েছে, তারা তাদের শিশুদের মুখেও এখন খাবার তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
গত শুক্রবার মরিয়ম আল-নাজ্জার নামে এক নারী তার পরিবারের ১১ জনকে নিয়ে শুধুমাত্র একবেলা খাবার খান। আর বাকি সময়টায় না খেয়ে ছিলেন। ওই একবেলায় জুটেছিল ভাত, টিনজাত মটর দানা আর গাজর।
বার্তাসংস্থা এএফপিকে এই নারী বলেন, “ফিলিস্তিনিদের কাছে শুক্রবার একটি পবিত্র দিন। এদিন পরিবারগুলো মাংস, ভালো শাকসবজি এবং অন্যান্য খাবার খায়। কিন্তু এখন আমরা শুক্রবারে মটর দানা আর ভাত খাচ্ছি। আমরা এ যুদ্ধের আগে জীবনে কখনো টিনজাত সবজি খাইনি। এ যুদ্ধ আমাদের জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন কোনো খাবার এখন পাই না যেগুলো আমাদের প্রোটিন ও পুষ্টি দেবে।”
তবে তার শঙ্কা হলো দখলদার ইসরায়েল যেহেতু এখনো অবরোধ আরোপ করে রেখেছে তাই কয়েকদিন পর গাজায় খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, খাবারের অভাবে “কয়েকদিন পর হয়ত আমরা বালু খাব।”
সূত্র: এএফপি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: