নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ‘গ্যারান্টি’ দাবি ইরানের
প্রকাশিত:
২ জুন ২০২৫ ১৯:০৯
আপডেট:
৪ জুন ২০২৫ ১২:৪০

ইরান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, তাদেরকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চলমান আলোচনায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার আনুষ্ঠানিক ‘নিশ্চয়তা’ দিতে হবে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাগাই সোমবার তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
তবে ‘এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে জাতিসংঘের এক সংস্থার এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের উৎপাদন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। যা পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ৯০ শতাংশ স্তরের কাছাকাছি।
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পরই ইসমাইল বাগাই এ মন্তব্য করেন।
পরমাণু আলোচনায় মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ গত মাসে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যেকোনো সমৃদ্ধকরণের বিরোধিতা করবে।
তিনি ব্রেইটবার্ট নিউজকে বলেন, ‘ইরানে আর কখনো পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চলতে পারে না। এটাই আমাদের রেড লাইন। কোনো সমৃদ্ধকরণ নয়।’
তবে কোনো হুমকির তোয়াক্কা না করে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ‘চুক্তি হোক বা না হোক’ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এ অবস্থায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার ইরানের কাছে পরমাণু চুক্তির জন্য একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস এটিকে ‘গ্রহণযোগ্য’ এবং ‘সর্বোত্তম স্বার্থে’ গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে।
কূটনৈতিক আদান-প্রদানের সঙ্গে পরিচিত কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ জানিয়েছে, ওই প্রস্তাবে ইরানকে তার পরমাণু সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পরমাণু শক্তি উৎপাদনের জন্য একটি আঞ্চলিক গোষ্ঠী তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে তার প্রথম মেয়াদে যে চুক্তি ত্যাগ করেছিলেন, তা বহাল রাখার জন্য একটি নতুন চুক্তির সন্ধানে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাঁচ দফা আলোচনা করেছে। তার পরই মূলত ওই প্রস্তাব দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: