বুধবার, ১১ই জুন ২০২৫, ২৭শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস

আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড, ৭শ মেরিন সেনা পাঠালেন ট্রাম্প


প্রকাশিত:
১০ জুন ২০২৫ ১০:২২

আপডেট:
১১ জুন ২০২৫ ০২:২৫

ছবি সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে শান্তি ফেরাতে এবার সেখানে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল কার্ড এবং ৭০০ মেরিন সেনা সদস্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসন উচ্ছেদ এবং নথিবিহীন অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। তার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অভিযান শুরু করে পুলিশ এবং মার্কিন কাস্টমস বিভাগের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা আইসিই। পুলিশ ও আইসিই’র যৌথ অভিযানে গত প্রায় ৬ মাসে শত শত নথিবিহীন অভিবাসীকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া নথিবিহীন অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি— এমন অঙ্গরাজ্যগুলোতে পৃথক বন্দিশালা বা ডিটেনশন সেন্টার করা হয়েছে। সেসব বন্দিশালায় আটক আছেন আরও হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী।

প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার নথিবিহীন অভিবাসী আছেন। এদের অধিকাংশই মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা। সাধারণত শহরতলী এলাকাগুলোতে তারা থাকেন।

গত ৬ জুন শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেসের শহরতলী এলাকা প্যারামাউন্টে নথিবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও আটক করতে অভিযানে নামেন পুলিশ ও আইসিই সদস্যরা। তবে অভিযানের শুরুতেই তারা ব্যাপক প্রতিরোধের সম্মুখীন হন। প্যারামাউন্টের বাসিন্দারা তীব্র বিক্ষোভের পাশাপাশি পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল, বোতল ও মলোটভ ককটেল বা পেট্রোল বোমা ছুড়তে থাকেন।

অবস্থা বেগতিক দেখে পরের দিন পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের সহায়তার জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন আধা সামরিক বাহিনী হাজার ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার সদস্যকে মোতায়েনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার পরিবর্তে সংঘাত আরও বাড়তে থাকে।

এই অবস্থায় গতকাল সোমবার লস অ্যাঞ্জেলেসে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড এবং তাদের সঙ্গে ৭০০ মেরিন সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাম্প।

আজ চার দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে লস অ্যাঞ্জেলেস। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

এখানে লক্ষ্যণীয় যে ব্যাপক উত্তেজনা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত খুব বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গ্রেপ্তারের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘাত চললেও বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভবন বা স্থাপনায় এখনও হামলা করেননি।

তবে পুলিশ এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দিয়েছেন তারা।

৪২ বছর বয়সী মারজিতা কেরেটা প্রথম প্রজন্মের মার্কিন নাগরিক। তার মা মেক্সিকো এবং বাবা হন্ডুরাস থেকে এসে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়েছিলেন। রয়টার্সকে মারজিতা বলেন, “এখানে যা হচ্ছে, তার প্রভাব সব মার্কিনিদের ওপর পড়ছে। কারণ এদেশের অধিকাংশ মানুষ মুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চায়।

সূত্র : রয়টার্স



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top