বিশ্ববাজারে কমল জ্বালানি তেলের দাম
প্রকাশিত:
১১ জুন ২০২৫ ১৭:১৪
আপডেট:
১৩ জুন ২০২৫ ০৩:৪৪

বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে বুধবার (১১ জুন) হালকা পতন লক্ষ্য করা গেছে।
চীনের সঙ্গে সাম্প্রতিক বাণিজ্য আলোচনার ফলাফল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকায় বাজারে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে এখনও।
তার ওপর চীনের দুর্বল তেলচাহিদা ও ওপেক প্লাস জোটের উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তেলের বাজারে। খবর রয়টার্সের।
বুধবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্সের দাম ১৫ সেন্ট বা ০.২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় প্রতি ব্যারেল ৬৬.৭২ ডলারে। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড ১০ সেন্ট বা ০.২ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ৬৪.৮৮ ডলারে লেনদেন হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা দুই দিনব্যাপী এক চূড়ান্ত আলোচনা শেষে একটি সমঝোতার কাঠামোতে একমত হয়েছেন।
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক জানান, এ সমঝোতার মাধ্যমে বাণিজ্য বিরতি আবার সচল করার পাশাপাশি চীনের বিরল খনিজ ও চুম্বক জাতীয় পণ্যের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পথ সুগম হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি ও শীর্ষ তেলভোক্তা হওয়ায় তাদের সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি বিশ্ববাজারে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
ফিলিপ নোভার জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক প্রিয়াংকা সচদেবা বলেন, মূল্য সংশোধনের পেছনে রয়েছে প্রযুক্তিগত মুনাফা গ্রহণ এবং আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগেই বাজারে সতর্কতা।
লুটনিক আরও জানান, ট্রাম্প আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে ব্রিফিং গ্রহণের পরই এটি অনুমোদন করবেন।
বাজার বিশ্লেষক টনি সাইকামোর বলেন, চীনের অর্থনৈতিক ঝুঁকি কমে গেলে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকলে তা তেলের চাহিদা ও দামে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অন্যদিকে, তেল সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে ওপেক প্লাস জোট। জুলাই মাসে দৈনিক ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে জোটটির, যা উৎপাদন হ্রাস তুলে নেওয়ার ধারাবাহিক চতুর্থ পদক্ষেপ। তবে কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, আঞ্চলিক বাজারে এ অতিরিক্ত তেলের চাহিদা সেভাবে তৈরি হবে না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: