বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫, ১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২


বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী ১০ ভূমিকম্প


প্রকাশিত:
৩০ জুলাই ২০২৫ ১৫:০৭

আপডেট:
৩১ জুলাই ২০২৫ ১০:১৯

ছবি সংগৃহীত

১৯০০ সাল থেকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ভূমিকম্পের রেকর্ড রাখা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। আজ বুধবার রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপে যে ভূমিকম্পটি হয়েছে, বিধ্বসী ক্ষমতা ও শক্তির নিরিখে সেটিকে ইতোমধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের ষষ্ঠ শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউএসজিএস।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থার ওয়েবসাইটে গত ১২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ১০টি ভূমিকম্পের তালিকাও দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে—

শক্তিমত্তা ও ধ্বংসের বিচারে ১০ম স্থানে রয়েছে ২০১২ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ঘটা ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি। সেই ভূমিকম্পে পুরো সুমাত্রাজুড়ে ব্যাপক ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছিল। তবে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি। হাতে গোনা যে কয়েকজন মারা গিয়েছিলেন, তাদের বেশিরভাগেরই মৃত্যুর কারণ ছিল হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া।

৯ম স্থানে আছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচলে ১৯৫০ সালে ঘটা ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি। আসাম এবং তিব্বত অঞ্চলেও এর কম্পণ তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছিল বলে এটি আসাম-তিব্বত ভূমিকম্প নামেও পরিচিথ। ব্যাপক কম্পন, ভূপৃষ্ঠ ফাটল এবং বিশাল এলাকাজুড়ে ধসের জেরে সেই ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭৮০ জন।

অষ্টম ভূমিকম্পটি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের র‌্যাট দ্বীপে ১৯৬৫ সালে এবং সেটির মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৭। তবে সেখানে জনবসতি না থাকায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

সপ্তম ভূমিকম্পটি হয়েছিল ১৯০৬ সালে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের এসরোলডাস শহরে। ৮ দশমিক ৭ মাত্রার সেই ভূমিকম্প প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল ১ হাজার ৫০০ মানুষের। ভূমিকম্পটির মাত্রা প্রশান্ত মহাসগারের অপর তীর সান ফ্রান্সিককোতেও অনুভূত হয়েছিল।

ষষ্ঠ ভূমিকম্পটি হয়েছিল ২০১০ সালে দক্ষিণ আমেরিকার অপর দেশ চিলির বিওবিও প্রদেশের কিউরিহিউ শহরের কাছে। ৮ দশমিক ৮ মাত্রার সেই ভূমিকম্প প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল ৫২৩ জনের, ধ্বংস করেছিল ৩ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর।

পঞ্চম ভূমিকম্পটি হয়েছিল ১৯৫২ সালে রাশিয়ার কামচাটকা ক্রাই উপদ্বীপে। এটি ছিল বিশ্বে রেকর্ডকৃত প্রথম ৯ মাত্রার ভূমিকম্প, যার ধাক্কা এসে লেগেছিল যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ায় অঙ্গরাজ্য পর্যন্ত। ভূমিকম্পের জেরে হাওয়াইয়ে ব্যাপক সুনামিও হয়েছিল।

এই ভূমিকম্পে প্রাণহানির কোনো তথ্য পাওয়া যয়নি তবে তখনকার সময়ে ১০ লাখ ডলারেরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল রাশিয়ায়।

চতুর্থ ভূমিকম্পটি হয়েছিল জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপে ২০১১ সালে। ৯ দশমিক ১ মাত্রার সেই ভূমিকম্পে প্রাণহারিয়েছিলেন ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি।

তৃতীয় ভূমিকম্পটি হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ২০০৪ সালে। ৯ দশমিক এক মাত্রার সেই ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন ১০ লাখ ১০ হাজার জন।

দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ১৯৬৪ সালে। ৯ দশমিক ২ মাত্রার সেই ভূমিকম্প এবং তার জেরে সৃষ্ট সুনামিতে নিহত হয়েছিলেন ১৩০ জন এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ২৩০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ।

বিশ্বের ইতিহাসে এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি হয়েছিল ১৯৬০ সালে চিলির বিওবিও প্রদেশে। ৯ দশমিক ৫ মাত্রার সেই ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ৬৫৫ জন মানুষ এবং বাড়িঘর ভাঙার জেরে আশ্রয়হীন হন আরও ২০ লাখ মানুষ।

আজ বুধবার রাশিয়ার কামচাটকা ক্রাই উপদ্বীপে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার যে ভূমিকম্পটি হয়েছে, সেটিকে ইতোমধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের ষষ্ঠ শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউএসজিএস।

সূত্র : ইউএসজিএস

ডিএম /সীমা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top