আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চার বিচারকের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশিত:
২০ আগস্ট ২০২৫ ২১:৫৮
আপডেট:
২১ আগস্ট ২০২৫ ০০:১৮

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) দুই বিচারক ও দুই প্রসিকিউটরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচারে নেওয়া পদক্ষেপের কারণে আইসিসির ওপর ওয়াশিংটনের চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বুধবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ফরাসি বিচারক নিকোলাস ইয়ান গুইলু, ফিজির নাজহাত শামীম খান, সেনেগালের মামে মানদিয়ায়ে নিয়াং এবং কানাডার কিম্বারলি প্রোস্ট।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র দপ্তরের ঘোষণায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গাজা সংঘাতে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে আইসিসির বিচারকরা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এবং হামাস নেতা ইব্রাহিম আল-মাসরির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
আইসিসির প্রাক-বিচার প্যানেলের বিচারক গুইলু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই প্যানেলের প্রসিকিউটর ছিলেন নাজহাত শামীম খান ও মামে মানদিয়ায়ে নিয়াং।
প্রায় তিন মাস আগে একইভাবে আইসিসির আরও চার বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ট্রাম্পের প্রশাসন। সেই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, এই বিচারকরা আইসিসির ‘‘অবৈধ ও ভিত্তিহীন পদক্ষেপে’’ জড়িত; যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরায়েলকে নিশানা বানিয়েছে।
গত জুনে আইসিসি ওয়াশিংটনের তীব্র সমালোচনা করে বলেছিল, এটি বিচারিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতাকে খর্ব করার চেষ্টা। বুধবারের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আন্তর্জাতিক এই আদালত এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত আইসিসি গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে পারে—যদি তা সদস্য রাষ্ট্রে ঘটে বা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে রেফার করা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও ইসরায়েল আদালতের সদস্য নয়।
বর্তমানে আইসিসি উচ্চপর্যায়ের কয়েকটি যুদ্ধাপরাধ তদন্ত চালাচ্ছে। এর মধ্যে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ, রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন, সুদান, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, ভেনেজুয়েলা ও আফগানিস্তানও রয়েছে। সর্বশেষ মার্কিন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সংশ্লিষ্টদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা যেকোনও সম্পদ জব্দ এবং তারা কার্যত মার্কিন আর্থিক ব্যবস্থার বাইরে চলে যাবেন।
সূত্র: রয়টার্স।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: