রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২


শ্রীলংকায় সরকার সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষের জের

মাহিন্দা রাজপাকশে ও সরকার দলীয় এমপি’র বাড়ীতে আগুন


প্রকাশিত:
১১ মে ২০২২ ০১:২৬

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:০১

রাজপাকশের সরকারী বাসভবনের বাইরে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাস

শ্রীলংকার সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকশে এবং সরকার দলীয় এমপিদের বাড়ীতে আগুন দিয়েছে দেশটির সংক্ষুব্ধ জনতা। সোমবার দিনগত রাতে শ্রীলংকায় এমন অরাজকতা হয় বলে জানায় স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

বিবিসি জানায়, কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী মাহিন্দা রাজাপাকশের সরকারি বাসভবন ঘিরে ফেলে। এসময় বাসভবনের ভেতর থেকে গুলি আসার পর বিক্ষোভকারীরা সেখানকার কিছু অংশে আগুন দেয়।

বিক্ষোভের সময় দোতলা ভবনে পরিবার নিয়ে লুকিয়ে ছিলেন মাহিন্দা রাজপাকশে। গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা যায়, বিক্ষোভকারীরা টেম্পল ট্রিজের প্রধান গেট ভাঙার চেষ্টা করলে ভারী অস্ত্রসজ্জিত সেনা সদস্যরা বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকশেকে সরিয়ে নেয়। বার্তা সংস্থা এএফপিকে সেখানকার এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, শেষ রাতের দিকে অভিযানের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয় শ্রীলংকার সেনাবাহিনী। এর আগে সোমবার দিনের বেলা গণবিক্ষোভের মুখে পদ্যত্যাগ করেন রাজাপাকশে।

চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে শ্রীলংকায় গণবিক্ষোভ শুরুর পর এক দিনের সহিংসতায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে সংসদ সদস্যসহ মোট পাঁচজন। আহত হয়েছে অন্তত ২০০ জন।

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পরও শান্ত হয়নি বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশ জুড়ে চলা কারফিউ বাড়ানো হয়েছে বুধবার পর্যন্ত। পরিস্থিতি শান্ত করতে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। জরুরি অবস্থার মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে ব্যাপক ক্ষমতা। দেশটিতে জরুরি অবস্থা চলছে শুক্রবার থেকে।

মাহিন্দা রাজাপাকশের ভাই শ্রীলংকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকশেরও পদত্যাগ দাবি করেছে বিক্ষোভকারীরা। তবে তিনি পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাহিন্দা রাজাপাকশে সমর্থকদের কয়েক ডজন বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের ওপর রাজাপাকশে সমর্থকদের উস্কানীমূলক হামলার অভিযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা এবং শ্রীলঙ্কার ধর্মীয় নেতারা। সোমবার কলম্বোতে মাহিন্দা রাজাপাকশের সরকারি বাসভবন টেম্পল ট্রির বাইরে বিক্ষোভকারীদের সাথে সরকার সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বড় পরিসরে।

উনিশশো আটচল্লিশ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট পার করছে শ্রীলংকা। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। অর্থনৈতিক দুরাবস্থার জন্য করোনা মহামারীকে দায়ী করেছে সরকার। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং শ্রীলংকার জনগন মনে করে, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাই মূল কারণ।

ডিএম/জুআসা/২০২২

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top