সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে আবার সক্রিয় বরিস জনসন


প্রকাশিত:
২২ অক্টোবর ২০২২ ২০:৫৮

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:১৩

ছবি সংগৃহীত

আকস্মিকভাবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস পদত্যাগের পর দেশটির ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের পরবর্তী নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। দলটির পরবর্তী নেতাই হবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।

যুক্তরাজ্যে কোনো প্রধানমন্ত্রী তাঁর মেয়াদকালের মধ্যে পদত্যাগ ঘোষণা করলে সাধারণ নির্বাচন ডাকা হয় না। বরং ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা নতুন নেতা বেছে নেন। আগামী শুক্রবার জানা যাবে কে হচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নতুন নেতা। যুক্তরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী, বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লস নতুন নেতাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করবেন।

ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, পরবর্তী নেতা হিসেবে মাত্র দেড় মাস আগে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়া বরিস জনসনের নাম বেশ জোরালোভাবে উঠে আসছে আলোচনায়।

বিশ্লেষকদের ধারণা, তিনি এখন পর্যন্ত রক্ষণশীল দলটির সদস্যদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় নেতা। এ কারণেই কয়েকজন কনজারভেটিভ (টোরি) এমপি এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও জনসনকে দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ছুটিতে ডমিনিকান রিপাবলিকে থাকা জনসন প্রধানমন্ত্রী লিজের পদত্যাগের পর দ্রুতই দেশে ফিরছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাজ্যের রাজনীতি এখন এমন এক ঘূর্ণাবর্তের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যে, অনেক কিছুই এখন সম্ভব হয়ে যেতে পারে। ফলে জনসনের ফিরে আসাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

জনসন লন্ডনে ফিরে 'রাজনৈতিক ডামাডোলে ফের প্রবেশ' করবেন কিনা তা বিবেচনা করছেন বলে অজ্ঞাত কয়েকটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে টাইমস অব লন্ডন

টেলিগ্রাফ সংবাদপত্র জানিয়েছে, শনিবার (২২ অক্টোবর) জনসন লন্ডনে ফিরবেন।

জনসন ধারাবাহিক কয়েকটি কেলেঙ্কারির পর চাপের মুখে পদত্যাগ করেছিলেন। তারপরও বিশ্লেষকদের ধারণা, তিনিই এখন পর্যন্ত রক্ষণশীল দলের সদস্যদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় নেতা। এ কারণেই কয়েকজন টোরি এমপি এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও তাঁকে দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বিবিসি বলছে, প্রধানমন্ত্রী পদে জনসনের প্রত্যাবর্তন কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। তিনি এমন একজন রাজনীতিবিদ যিনি এর আগে অলৌকিকভাবে বারবার ফিরে এসেছেন। যুক্তরাজ্যে দলের নেতৃত্ব হারানোর পরে প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রত্যাবর্তনের সর্বশেষ ঘটনা ঘটে ১৪০ বছর আগে। সে সময় উইলিয়াম গ্ল্যাডস্টোন লিবারেলদের নেতৃত্বে ফিরে এসেছিলেন।

তবে এবার জনসনের জন্য প্রত্যাবর্তন কঠিন এই কারণে যে, ১৪৮ জন সহকর্মী তাঁর বিরুদ্ধে গত জুনে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দিয়েছিলেন। এর এক মাস পরে প্রায় তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে ৬০ জন পদত্যাগ করেছিলেন। অবশ্য জনসন কর্ম ও রাজনৈতিক জীবনে চারবার প্রত্যাবর্তন করেছেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে তিনি তাঁর ব্রেক্সিট চুক্তির প্রতিবাদে তেরেসা মের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু পরের বছর দলের নেতা হিসেবে ফিরে আসেন এবং সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন।

কিন্তু তাঁর আবার ফিরে আসাটা টোরি এমপিদের জন্য 'খুবই উদ্বেগজনক' হতে পারে বলেই মনে করছেন ভোট বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন কার্টিস। তিনি বলেন, বরিস জনসনের বিরুদ্ধে এখনও পার্লামেন্টারি কমিটির তদন্ত চলছে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে জনসন ডাউনিং স্ট্রিটে মদপানের পার্টি করা নিয়ে হাউস অব কমন্সকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্ত করেছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই চলছে এ তদন্ত। তাই তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে শামিল হওয়ার ক্ষেত্রে সবাইকে এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে বলেই মনে করেন কার্টিস।

বিবিসি জানায়, নেতৃত্ব প্রতিযোগিতায় জনসন আবার নামবেন কিনা, তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা তা নিশ্চিত বা অস্বীকার করেননি। জনসনের মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী সদস্য ঋষি সুনাকের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের বর্তমান নেতা পেনি মরডান্টের নামও আসছে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর তালিকায়।

তবে সাড়ে ৬০০ সদস্যের পার্লামেন্টে রক্ষণশীল দলের সংখ্যাগরিষ্ঠরাই (৩৫৭ এমপি) সিদ্ধান্ত নেবেন, সাধারণ নির্বাচন হবে কিনা। তাঁরা যদি না চান, তাহলে যুক্তরাজ্যে ২০২৫ সালের আগে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা এখন দেখা যাচ্ছে না।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top