আঞ্চলিক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ-ভারত
প্রকাশিত:
১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৫৯
আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৩৭

শনিবার হায়দ্রাবাদের দুন্ডিগালের উপকণ্ঠে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিভিন্ন শাখার ফ্লাইট ক্যাডেটদের সম্মিলিত গ্র্যাজুয়েশন প্যারেডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান
আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান। তিনি বলেছেন, এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত ও বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে।
বিমান বাহিনী প্রধান বর্তমানে ভারত সফরে রয়েছেন এবং শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সেখানে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এবং সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) বিভিন্ন শাখার ফ্লাইট ক্যাডেটদের সম্মিলিত গ্র্যাজুয়েশন প্যারেডে শনিবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এয়ার মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান। সেখানে তিনি বলেন, উভয় দেশের মধ্যে ‘নাভি সংযোগ’ রয়েছে এবং সেই সম্পর্ক ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে আরও গভীর হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উভয় দেশেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী নিয়মিত যৌথ মহড়া পরিচালনা করে যাতে আমাদের প্রচেষ্টায় সমন্বয় থাকে।’
১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের ডিমাপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্ম উল্লেখ করে বাংলাদেশের বিমান বাহিনী প্রধান বলেন, সেই ঐতিহ্য নিয়েই আজ উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে।
এয়ার মার্শাল শেখ আবদুল হান্নানের ভাষায়, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নাভির সংযোগ রয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে এই সংযোগ আরও গভীর হয়েছে। এটি আমাকে সামগ্রিকভাবে ভারত এবং বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় বিমান বাহিনীর অমূল্য অবদান স্মরণ করিয়ে দেয়।’
পাসিং আউট ক্যাডেটদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এই প্রযুক্তিচালিত বিশ্বে আকাশ ও মহাকাশ শক্তি একবিংশ শতাব্দীর যুদ্ধে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
তার মতে, বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও, বিশ্ব অনেক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে যা প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ক্রমাগত আপগ্রেড এবং উন্নতির মাধ্যমে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান আরও বলেন, ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে এবং অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য সম্প্রতি প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রম উন্নত করেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: