স্বতন্ত্র প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিয়োগ চেয়ে আইনি নোটিশ, ১০ দিনের সময়সীমা
প্রকাশিত:
২২ জুন ২০২৫ ১২:৩৭
আপডেট:
২২ জুন ২০২৫ ১৬:২৭

দেশের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে একজন পূর্ণাঙ্গ ও স্বতন্ত্র প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিয়োগের দাবি জানিয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২২ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এই নোটিশটি রেজিস্ট্রি ডাক ও ই-মেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করেন।
নোটিশে প্রতিরক্ষা খাতে দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক শূন্যতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে বিবাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, স্বাধীনতার পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে আলাদা করে কোনো প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বরাবরই প্রধানমন্ত্রী বা বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা নিজেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিষয়টি প্রশাসনিক দিক থেকে অকার্যকর এবং সংবিধানের মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গেও অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
বিশেষ করে বাংলাদেশ যে ভৌগোলিকভাবে একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল অঞ্চলে অবস্থিত, সেটি বিবেচনায় নিয়ে নোটিশে বলা হয়—একদিকে মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের প্রভাবে সীমান্তে নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে সীমান্তে গোলাগুলি ও নাগরিক হত্যা অব্যাহত রয়েছে। বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনা এবং সীমান্তে ‘পুশ ইন’ কৌশলে ভারতীয় মুসলিমদের বাংলাদেশে পাঠানোর অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
এই প্রেক্ষাপটে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিচালনার জন্য একজন অভিজ্ঞ ও স্বতন্ত্র প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিয়োগ করা সময়োপযোগী ও অপরিহার্য হয়ে পড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
নোটিশে প্রস্তাব করা হয়, অবসরপ্রাপ্ত কোনো সেনাপ্রধানকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং অবসরপ্রাপ্ত কোনো নৌ বা বিমান বাহিনীর প্রধানকে উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। এতে করে প্রতিরক্ষা খাতে দক্ষতা, গবেষণা, আন্তর্জাতিক সামরিক কূটনীতি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ আরও কার্যকর হবে বলে অভিমত প্রকাশ করা হয়।
সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে নোটিশে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের সকল কর্মচারী জনগণের সেবা করার জন্য দায়বদ্ধ। তাই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতেই এমন একটি নিয়োগ অত্যন্ত জরুরি।
নোটিশে আরও জানানো হয়, আগামী ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে যদি এ বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: