রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫, ৭ই বৈশাখ ১৪৩২


অনলাইন সেবা আরও সহজ করতে হবে: ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান


প্রকাশিত:
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:০৪

আপডেট:
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৩৩

ছবি সংগৃহিত

ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান এ জে এম সালাহ উদ্দিন নাগরী বলেছেন, ভূমি সেবায় অনলাইন সিস্টেমে কি ধরনের জটিলতা আছে তা আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। মানুষ অনলাইনে সেবা নিতেও ভোগান্তির শিকার হন, তাই কি ধরনের সমস্যা রয়েছে তা নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অনলাইন সেবা কীভাবে আরও সহজ করা যায়, সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবনে আয়োজিত ভূমি ব্যবস্থাপনা সংস্কার বিষয়ক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যভাবে ভূমির খাজনা দিতে পারছে না অনলাইনে, কেন বারবার সার্ভার ডাউন থাকছে, কেন ঝামেলাহীনভাবে নামজারির কাগজ প্রিন্ট নিতে পারছে না। এসব বিষয়ে আরও বেশি নজর দিতে হবে। ঝামেলাহীনভাবে যেন মানুষ অনলাইনে সেবা পেতে পারে তার সঠিক বন্দোবস্ত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ভূমি নিয়ে যত আইন রয়েছে যদি সেই কাগজ প্রিন্ট করে রাখি তাহলে একটা রুম ভরে যাবে। এত আইন, এত জটিলতা। আমরা এত কাগজ তৈরি করেছি, এত পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন বানিয়েছি জমি সংক্রান্ত। এগুলোই কি আমাদের সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনায় অন্তরায় হচ্ছে? এগুলো ভাবার সময় এসেছে এখন। আমার ব্যক্তিগত অভিমত- নতুন নতুন আইন তৈরি না করে আগেকার কিছু বাদ দিয়ে সংযোজন-বিয়োজন করে আরও কীভাবে আইনগুলোকে সহজ করা যায়, সে বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।

এ জে এম সালাহ উদ্দিন নাগরী বলেন, আধুনিক প্রজন্ম, এ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা জমির সিএস, এস এ, আর এস ঝামেলা মনে করে। এগুলোর মাধ্যমে জটিলতা বৃদ্ধি পায়। আমার মতে এগুলো বিজ্ঞ লোকদের জন্য, এক্সপার্টদের জন্য থাকুক। আর আমাদের মতো সাধারণ আমজনতার জন্য এগুলোকে কম্পাইল করে একটা সহজ কিছু প্রণয়ন করা হোক। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রণালয় দপ্তরেও তাদের জমি নিয়ে বিরোধ। কোথাও যদি কাজ করতে যাওয়া হয় তাহলে বলা হয় এটা অমুক মন্ত্রণালয়ের জমি, ওটা অমুক দপ্তরের জমি, সেখানে বাদ দিয়ে কাজ করতে হবে। এ সমস্যাগুলো ফেস করতে হয়। আমার মতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বসে এটার সমাধান করা উচিত। এর জন্য মামলা, কাজ আটকে থাকা এগুলো থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

সংস্কার বিষয়ক সভায় সংশ্লিষ্ট অংশীজন ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এমদাদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হাসানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আসা প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top