মঙ্গলবার, ৩রা জুন ২০২৫, ১৯শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি চাষে রতনের বাজিমাত


প্রকাশিত:
১ জুন ২০২৫ ১০:৪২

আপডেট:
৩ জুন ২০২৫ ০০:০৫

ছবি সংগৃহীত

ভরা গ্রীষ্মেও শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি চাষ করে বাজিমাত করেছেন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের রতন চন্দ্র রায়। প্রথমবার গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি চাষ করে তিনি পেয়েছেন সফলতা।

বাঁধাকপি চাষ করে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছেন এই কৃষি উদ্যোক্তা। তার সফলতা দেখে বাঁধাকপি চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন অনেক কৃষক। আর এই বাঁধাকপি চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

জানা যায়, রতন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী ববিতা রানী দিনাজপুর অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মোমিনপুর টেকসই কৃষি উন্নয়ন গ্রুপের সদস্য। সেই সুবাদে সামার কুইন-৫৫ জাতের গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি ১৩ শতক জমিতে চাষ করেন। বর্তমানে প্রতিটি বাঁধাকপি ২৫০-৩০০ গ্রাম ওজনের হয়েছে। ১৩ শতক জমিতে খরচ বাদে ৪৫-৫০ হাজার টাকা লাভ হতে পারে।

বাঁধাকপি চাষি রতন চন্দ্র রায় বলেন, আমি ১৩ শতক জমিতে সামার কুইন-৫৫ জাতের গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি চাষ করেছি। বর্তমানে প্রতিটি বাঁধাকপির ২৫০-৩০০ গ্রাম ওজনের হয়েছে। আমি আশা করেছি শীতের সবজি গ্রীষ্মের বাজারে চাহিদা ভালো হবে এবং কেজি প্রতি ৪০-৪৫ টাকা বিক্রি করতে পারব। আমার ১৩ শতক জমিতে খরচ বাদে ৪৫-৫০ হাজার টাকা লাভ হতে।

তিনি আরও বলেন, গ্রীষ্মে বাঁধাকপির ফলন নিয়ে প্রথমে শঙ্কা থাকলেও কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা পাওয়ার কারণে ভালো হয়েছে। সেচ ও‍ সার কম লাগায় শীতের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে বাঁধাকপি চাষ করে ভালো লাভ করা সম্ভব। এছাড়া আগামী বছর অন্য ফসলের আবাদ কমিয়ে বাঁধাকপি চাষ করবেন বলে জানান তিনি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলতাফুর রহমান বলেন, পার্বতীপুর উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি কৃষির জন্য বেশ উপযোগী। এ উপজেলায় ধান, ভুট্টা সরিষা, গমসহ সারাবছরই কমবেশি সবজির চাষ হয়ে থাকে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রয় হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে এ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে বাঁধাকপির চাষ হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে চাষিদের সর্বদা পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।

পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিব হুসাইন বলেন, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে অত্র উপজেলায় নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি ব্যবহার করে খরিপ-১ মৌসুমে উচ্চমূল্যের সবজি যেমন গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি, গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি, টমেটো, মাচায় তরমুজ, শসাসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ সম্প্রসারণের জন্য কাজ চলমান রয়েছে। এই বিষয়ে কৃষক ভাইদের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত আছে। এসব উচ্চমূল্যের অফ সিজনে সবজি আবাদ করলে কৃষক লাভবান হবে এবং এই উপজেলায় বাণিজ্যিক কৃষির দ্বার উন্মোচন হবে বলে আশা করা যায়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top