সিলেটে সাদা পাথর লুটপাটের ঘটনায় তদন্ত শুরু সিআইডির
প্রকাশিত:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ২২:০১
আপডেট:
২৭ আগস্ট ২০২৫ ০০:০৬

সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটের ব্যাপারে ৫০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি পুলিশের ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসিম উদ্দিন খান।
তিনি জানান, অর্থনৈতিকভাবে লাভের উদ্দেশে সাদা পাথর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত সকল ব্যক্তি এবং সংগঠিত অপরাধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেছুর রহমান জানান, সিলেটে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
গত (শুক্রবার (২২ আগস্ট) সিলেটে পাথর লুটের ঘটনা পর্যবেক্ষণে গিয়ে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
অন্যদিকে সিলেটে নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের আল্টিমেটামের পর ২৫ লাখ ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে কিছু ফিরিয়ে দিয়েছে লুটকারী ও ব্যবসায়ীরা। যার বাজারমূল্য প্রায় ৫৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
গত শনিবার (২৩ আগস্ট) থেকে ২৫ আগস্ট দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর থেকে চুরি ও লুট হওয়া প্রায় ২৫ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে প্রশাসন। এর মধ্যে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর পর্যটন স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
সিলেটের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকায় রাষ্ট্রীয় পাথর অবৈধভাবে উত্তোলন ও লুটের অভিযোগে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক)।
এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাদা পাথর নামক ওই স্থান থেকে পাথর লুট হওয়ার সংবাদ প্রকাশ হলে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধ্বংস করার প্রতিবাদ জানানো হয় দেশের বিভিন্ন মহল থেকে। সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের ৭৫ শতাংশই গায়েব। আছে মাত্র ২৫ শতাংশ। একসময় প্রচুর পরিমাণে সাদা পাথর দেখা যেত বলে জায়গাটার নামই হয়ে যায় ‘সাদা পাথর’। কিন্তু বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রটি অস্তিত্ব সংকটে।
অভিযোগ, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই পাথর লুট শুরু হয়। কিছুদিন আগে পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। পরে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। বন্ধ হয় পাথর লুট।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: