শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর


প্রকাশিত:
১১ মে ২০২২ ০১:০৯

আপডেট:
৩ মে ২০২৪ ২২:৩৬

ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভাব্য সর্বোত্তম নীতি কাঠামোর আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশের বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১০ মে) গণভবনে সফররত ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ বিজনেস ডেলিগেশনের সঙ্গে বৈঠককালে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইউএস-বাংলাদেশ এনার্জি টাস্কফোর্স যেটি সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে চালু হয়েছিল তা উভয় দেশের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেজন্য আমাদের বন্ধুদেশগুলো থেকে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বর্ধিত বিনিয়োগ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘আমি এখন আমাদের ব্যবসা এবং বিনিয়োগের পরিবেশ সহজ করার জন্য সর্বোত্তম সম্ভাব্য নীতি কাঠামো এবং জোরালো সম্ভাবনার বিষয়ে আপনাদের আশ্বস্ত করব।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের জায়গা। ভৌত অবকাঠামোর পাশাপাশি, আমরা বিনিয়োগ ও ব্যবসা সংক্রান্ত নিয়ম-কানুনগুলোকে আপগ্রেড ও সহজ করেছি। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি রয়েছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ সংসদের আইন এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি দ্বারা সুরক্ষিত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বন্ধুত্ব অভিন্ন মূল্যবোধ ও স্বার্থ ভাগাভাগির ভিত্তিতে। এটি আমাদের সম্প্রসারিত সামগ্রিক ব্যবসায়িক সম্পর্কের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। মার্কিন বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার এবং অন্যান্য বাণিজ্য সুবিধার মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করা যেতে পারে। উপযুক্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি-এফটিএ আলোচনা শুরু করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত।

সরকারপ্রধান বলেন, গত পাঁচ বছরে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। রপ্তানির পরিমাণ ২০১৬-১৭ সালের ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০১২-২০২২ সালে ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অন্যতম বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার এবং আমাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রাখছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য এফডিআই এবং রপ্তানি বাজারের একক বৃহত্তম উৎস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি ইউএস কোম্পানিগুলো এই সুবিধা গ্রহণ করবে এবং শক্তি ও জ্বালানি, আইসিটি, অবকাঠামো, হালকা প্রকৌশল পণ্য, মোবাইল ফোন এবং ইলেকট্রনিক পণ্য, অটোমোবাইল, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিক ইত্যাদির মতো সম্ভাব্য খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ করবে।

তিনি বলেন, এই দেশে আপনারা নিশ্চিতভাবেই মেগা অবকাঠামো প্রকল্পগুলো দেখেছেন। এগুলো আরও বেশি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে বলে আশা করছি। আমার সরকার আমাদের নাগরিকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির কৌশল অনুসরণ করছে। এটিকে বিশ্ব অর্থনীতিবিদ এবং সংস্থাগুলো টেকসই হিসেবে স্বীকৃত দিয়েছে।

বাংলাদেশ এখন আরএমজি, চামড়া, প্লাস্টিক, পাট, আইসিটি, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ এবং আরও অনেক কিছুর মতো অত্যাধুনিক উৎপাদন কারখানার জন্য স্বীকৃত। যোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ডিএম/তাজা/২০২২

সূত্র: বাসস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top