বৃহঃস্পতিবার, ১৩ই মার্চ ২০২৫, ২৮শে ফাল্গুন ১৪৩১


বোর্ডগুলোকে আরও সতর্ক হতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী


প্রকাশিত:
১০ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৫১

আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ০৫:৫৯

ছবি সংগৃহিত

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আমরা কাদের প্রশ্নকর্তা ও মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব দিচ্ছি, সেই দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে। বোর্ডগুলোকে আরও সতর্ক হতে হবে। আমাদের সিস্টেমে সেটা আরও ভালো করতে হবে।

আজ বুধবার জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে ‘৭১ এ গণহত্যার জাতিসংঘের স্বীকৃতি চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, এবারের এইচএসসির বাংলা বিষয়ের প্রশ্ন নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে তা আমরা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি। এই বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রশ্ন সেট করেছেন কারা, প্রশ্ন মডারেট করেছেন কারা সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে।

দীপু মনি আরও বলেন, আমাদের তদন্ত চলছে। এটা দেখা অবশ্যই দরকার, কারণ অবহেলাজনিত না এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। আমাদের সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। যদি অবহেলা থাকে কিংবা ইচ্ছাকৃত হয় দুটির কোনটিই ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

‘আমাদের এখন প্রশ্নের পুরো প্রক্রিয়া যেভাবে সেট হয় তা হচ্ছে, প্রশ্ন একজন সেট করেন, আরেকজন মডারেট করেন। এরপর কিন্তু পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত এটা আর কারো দেখার সুযোগ থাকে না’ - যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রশ্ন কর্তা ও প্রশ্ন মডারেট যারা করেন তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, নির্দেশিকা দেওয়া হয়। তারপরও কেউ যদি এটা করেন সেটা চরম অবহেলা অথবা ইচ্ছাকৃত।

তদন্ত রিপোর্ট আসা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নেবো তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা নির্ভর করবে তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর। তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।

গত রোববার (৬ নভেম্বর) সারা দেশে এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নে বলা হয়েছে, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’

বাংলা প্রথম পত্রের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক প্রশ্নপত্রটি যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রণীত হয়েছে। প্রশ্ন প্রণয়নকারী ঝিনাইদহের মহেশপুরের একটি কলেজের একজন শিক্ষক। আর চার মডারেটরের মধ্যে দুজন নড়াইলের দুটি কলেজের এবং বাকি দুজনের একজন সাতক্ষীরার একটি কলেজের এবং আরেকজন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার একটি কলেজের শিক্ষক। এ ঘটনা তদন্তে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top