প্রতিরক্ষা শক্তির মনোবল ও সংহতি বিনষ্টের চেষ্টা চলছে
প্রকাশিত:
৭ মার্চ ২০২৩ ০২:০৯
আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:২৩

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিম বলেছেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারিতে এক গভীর ষড়যন্ত্রে যে ট্র্যাজেডি ঘটানো হয়েছিল, ঠিক তেমনি ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনাতেও একই ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা শক্তির মনোবল ও অভ্যন্তরীণ সংহতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সোমবার (৬ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও শহীদ সেনা অফিসারদের নিয়ে অপমানজনক বক্তব্যের প্রতিবাদ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইব্রাহিম বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারিতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানে দুইজন আলোচক পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ হওয়া সেনাদের নিয়ে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করেন। উদাহরণস্বরূপ যে ৫৭ জন অফিসার সেদিন শহীদ হয়েছিলেন তাদের খাসি বলা হয়েছিল এবং বর্তমান বিজিবিতে চাকরি করা সব অফিসারদের স্মাগলার করা হয়েছে। একজন সাবেক সেনা অফিসার হিসেবে আমি তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সে আলোচনা অনুষ্ঠানটি ফেসবুক এবং ইউটিউবে আপলোড করা হয়। তবে মার্চের ৪ তারিখে সেটি ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গত ৬ মার্চ গর্হিত সে আলোচনার প্রতিবাদে একই অনুষ্ঠানে অন্য দুইজন আলোচক তার ব্যাখ্যামূলক আলোচনা করেন।
তিনি আরও বলেন, পিলখানা ট্র্যাজেডির ঘটনায় দুইটি মামলা করা হয়েছিল। একটি হত্যাকাণ্ডের মামলা, অপরটি বিস্ফোরক দ্রব্য রাখার মামলা। প্রথম মামলাটির একটি অংশ এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে, অপরটি অন্যত্র রয়েছে। বিগত ১৪ বছরে বহু ব্যক্তি বিচার ও রায়ের অপেক্ষা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। আমরা সরকারের নিকট দ্রুত বিচার কামনা করছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: