শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


নয়াপল্টনে জনসমুদ্র


প্রকাশিত:
২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৪৬

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ১৫:১৭

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ দুপুর ২টা থেকে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হবে। এর ৩ ঘণ্টা আগেই নয়াপল্টন এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিলের স্রোত এসে ঠেকেছে নয়াপল্টনের সমাবেশস্থলে।

এছাড়া মতিঝিল, আরামবাগ, কমলাপুর, কাকরাইল, ফকিরাপুল, শান্তিগর থেকে মালিবাগ পর্যন্ত চলে গেছে জনস্রোত। মঞ্চে দেশের গান পরিবেশিত হতে দেখা গেছে।

যশোরের মনিরামপুর থেকে বিএনপির মহাসমাবেশে এসেছেন গাজী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, মহাসমাবেশ বহু দেখেছি। কিন্তু কোনো সমাবেশে এতো মানুষ দেখিনি।

সিরাজগঞ্জ থেকে সমাবেশে আসা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, আমার মনে হয় ১৫ লাখ মানুষ হয়েছে। যেদিকে যাচ্ছি সবখানেই মানুষ।

কুষ্টিয়ার জীবন আহমেদ বলেন, সব মানুষ ভয়কে জয় করে সমাবেশে এসেছে। পুরো ঢাকা শহরে মানুষ আর মানুষ।

এদিকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার (২৮ অক্টোবর) ভোর থেকেই নয়াপল্টনে জনতার ঢল নেমেছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে রাজধানীতে অবস্থান করা নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন। নেতাকর্মীদের মিছিল, শ্লোগানে মুখরিত হয়েছে গোটা নয়াপল্টন এলাকা। তাদের হাতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা দেখা গেছে। ইতোমধ্যে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পন্টন থানা পর্যন্ত কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।

মহাসমাবেশে নাটোর থেকে আসা বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন বলেন, ভোরে আমরা শতাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছেছি। সরাসরি সমাবেশে এসেছি। পথে পথে তল্লাশি করা হয়েছে। ভয়কে জয় করে আমরা সমাবেশে এসেছি।

নোয়াখালীর বিএনপি নেতা জায়েদ ইকবাল বলেন, শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আমরা সমাবেশে এসেছি।

রাজশাহীর মহিলা দলের নেত্রী পারুল বেগম বলেন, আমরা মাাইক্রোবাসে করে ঢাকা এসেছি। রাতে মাইক্রোর মধ্যেই কাটিয়েছি।

চাঁদপুরের ৬০ বছর বয়সী বিএনপিকর্মী নাজমুল করিম বলেন, লঞ্চে আমরা কয়েকশ নেতাকর্মী চাঁদপুর থেকে এসে সদরঘাটে নেমেছি। তারপর সোজা মিছিল সহকারে সমাবেশে এসেছি। আমরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই।

গতকাল শুক্রবার রাতে ২০ শর্তে বিএনপিকে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

এর আগে গত ১৮ অক্টোবর সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই মহাসমাবেশ থেকেই পরবর্তী চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সরকার পতনের একদফা দাবি ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আংশিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করব। এই মহাসমাবেশ থেকে আমাদের মহাযাত্রা শুরু হবে।

তিনি বলেন, ২৮ তারিখের মহাসমাবেশের পর আমরা আর থামব না। টানা কর্মসূচি চলবে। অনেক বাধা বিপত্তি আসবে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে অশান্তির এ সরকারের পতন ঘটাবো।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top