যা ইচ্ছা তাই করার অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে ছাত্রলীগকে: রিজভী
 প্রকাশিত: 
 ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৪৯
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৫৪
 
                                জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত শনিবার রাতে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী কর্তৃক নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনা উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'অবৈধ সরকার ছাত্রলীগকে এক কুৎসিত সংগঠনে পরিণত করেছে। তারা ছাত্রলীগের জন্য নারীর শ্লীলতাহানিকে অবাধ করে দিয়েছে।’
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের দেশের মধ্যে ইন্টারনাল নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি করেছেন। তার নাম ছাত্রলীগ। তাদেরকে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে যে তোমরা যা ইচ্ছা তাই কর, কিন্তু বিএনপি যুবদল ছাত্রদলের মিছিল দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে। বেআইনি অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া করবে এই লাইসেন্স তাদের দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়া পরিষদের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, 'অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে ভয় পান শেখ হাসিনা। কিন্তু ছাত্রলীগ অপকর্ম নিয়ে কোনো কথা বলেন না। ২০২০ সালে সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতন করা হয়েছে তার কোন বিচার হয় নাই। কারণ কোর্ট তাদের পুলিশ তাদের। তাদের বিচার হবে কেন?
রিজভী বলেন, 'বিচার হয় গণতন্ত্রের কথা বললে। মিছিল বের করলে তাদেরকে ধরে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তারা আজ জেলে। কারণ তারা বক্তব্যে গণতন্ত্রের কথা বলেছিল। আর যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাসিনো খুলবে, সুন্দরী নারীদের নিজেদের সম্পত্তি মনে করবে। গত রোববার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে জঘন্য ঘটনা ঘটেছে তারপরও কী প্রধানমন্ত্রী আপনার টনক নড়েনি? এ দেশের কাছে কোনো নারী, শিশু সাধারণ জনগণের কোন নিরাপত্তা নেই।
শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনার অন্যায় অত্যাচারের কারণেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আনতে হবে। গণতন্ত্র ফিরে আসলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার হবে।
রিজভী বলেন, ‘আমরা এখন দেখছি দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলি দিয়ে মিয়ানমারের মর্টারশেলে বাংলাদেশের জনগণ মারা যাচ্ছে কিন্তু তারা একটি বিবৃতি দেয়নি। একটু প্রতিবাদও করেন না প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী,পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কারণ মাথা তো আগেই বিক্রি করে দিয়েছে যারা মাথা বিক্রি করে তারা কিছুই বলতে পারে না।’
এ সময় বিএনপি'র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আব্দুল কুদ্দুস, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: