মাদরাসার ২০ কোটি টাকার সম্পদ আত্মসাৎ
মামুনুল-মাহফুজুলসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
 প্রকাশিত: 
 ১৬ জুন ২০২১ ১৫:১৯
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:০১
                                ২০ কোটি টাকার সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগে হেফাজত ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম মোরশেদ আল মামুন ভূঁইয়া বিষয়টি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (১৬ জুন) আদালত সূত্র থেকে মামলার বিষয়টি জানা গেছে। ২০ কোটি টাকার সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগে ১৫ জুন আল মাদরাসাতু মুঈনুল ইসলামের পক্ষে মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুর রাজ্জাক কাসেমী এ মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন মাওলানা আতাউল্লাহ, মাহফুজুল হক, মুফতি সেলিম উল্লাহ, মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, মুফতি মামুনুর রশিদ, মাওলানা হানজালা, হানজালা বিন জোবায়ের, হাজি জসীম উদ্দিন ঢালি, হাজি আফতাব উদ্দিন, মামুন ঢালি, ফারুক হোসেন, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, ফেরদৌস ঢালি, হাফিজুর রহমান সুমন, আল আমিন, আব্দুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা বিন ইয়ামিন, মো. ওসমান, হাফিজুর রহমান, সুলাইমান, মাওলানা তালহা, মাওলানা গোলাম মুকতাদির, মাওয়লা মুঈনুদ্দিন, মাওলানা নুর আলম, মাওলানা আলী, মাওলানা ইউসুফ, মাওলানা ফয়সাল, মাওলানা তারেক, বায়েজিদ, মো. হুমাইন আহামদ, মো. ইয়াসিন, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, হাফেজ মো. আবু সায়েম, মাওলানা আব্দুর আজিজ, মাওলানা মো. আলী, মুফতি জসীম উদ্দিন, মাওলানা জাকির হোসেন, মাওলানা আনোয়ার হোসেন ও মাওলানা আনিসুর রহমান।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, আল মাদরাসাতু মুঈনুল ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মুহতামিম মুফতি আতাউর রহমানের মৃত্যুর আগে বিভিন্ন সময় ছাত্র-শিক্ষকদের খাবার হিসেবে চাল, ডাল এবং ভবন নির্মাণে রড-সিমেন্টসহ মারদাসায় বিভিন্ন ধরনের খরচ দেখিয়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগ থেকে আরও জানা হয়, ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর নর্দ্দা বারিধারা সংলগ্ন প্রগতি সরণি মেইন সড়ক অবরোধ করে বেআইনি জনতাবদ্ধে আল মাদরাসাতু মুঈনুল ইসলামের স্বার্থ ও আদর্শ পরিপন্থী আসামিরা উপস্থিত থেকে এবং তাদের নেতৃত্বে আনুমানিক প্রায় ২৫০ জন হেফাজতকর্মী ও উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র-শিক্ষক যাদেরকে বিভিন্ন মাদরাসা থেকে ভুল বুঝিয়ে 'সাদ সাহেব ও তার অনুসারীদের মালামাল হলো গনিমতের মাল' এই মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে মাদরাসা পরিচালনার বিষয়ে আদালতের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বেআইনি জনতাবদ্ধে আল মাদরাসাতু মুঈনুল ইসলামের টিনশেড অফিসের ভেতর আলমারিতে রাখা ক্যাশ টাকা, রশিদ বই, খরচের ভাউচার, ক্যাশ বই, খতিয়ান বই ও স্টক বইসহ মূল্যবান দলিলপত্র আসামিরা লুট করে অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে বিগত ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের মতবিনিময়সভার আহ্বান করলে আসামিরা কয়েক শ উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও সন্ত্রাসী একত্রিত হয়ে ঘিরে ফেলে এবং আগতদের থেকে মোবাইল, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে তাদের লোহার রড, দা, লাঠি, বাঁশ ইত্যাদি দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: