ট্রাম্প-জিনপিং তৈরি করবে না, মোদিও ধাক্কা দিয়ে কিছু করতে পারবে না
 প্রকাশিত: 
 ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১০:০৫
 আপডেট:
 ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৫৩
 
                                বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা সবাই যদি এটুকু বুঝতে পারি, দেশটা আমাদের, এর ভবিষ্যৎ আমাদের নির্মাণ করতে হবে। আমেরিকা থেকে ট্রাম্প (ডোনাল্ড ট্রাম্প) বা চীন থেকে শি (শি জিনপিং) এসে এটা তৈরি করে দেবে না। অথবা ভারত থেকে মোদিও (নরেন্দ্র মোদি) ধাক্কা দিয়ে আমাদের কিছু করতে পারবে না। এই বিষয়গুলো আমাদের অন্তরের মধ্যে গেঁথে নিতে হবে।
আজ (শনিবার) রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় ‘রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম -এর দূরদৃষ্টিতে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ নেতৃত্ব-ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথে কূটনীতি -শাসনব্যবস্থা রূপান্তরমূলক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, চারদিকে টেলিভিশনের টকশো, বিদ্বান মানুষের কথা ও রাজনৈতিক বক্তব্যসহ সবকিছু শুনে সবাই কেমন যেন হতাশ হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, এতো যে রক্তপাত, মানুষের বুক খালি হলো, শেষ পর্যন্ত তার পরিণতি কী হবে? আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভালো হবে, খুব ভালো হবে। কারণ আমরা দেশের মানুষরা চিরকাল ভালোর জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছি এবং জয়ী হয়েছি। বিশেষ করে আমাদের তরুণ ছেলেরা, আজ বাংলাদেশের যা কিছু ভালো অর্জন, সবই তাদের জন্য। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই- আগস্টের আন্দোলনের একবারে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করেছে তরুণরা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করি, তার আগে আমাদের নেতা অনেকে ছিলেন। অত্যন্ত বড় বড় নেতা— মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের একেক জনের একেক চিন্তা ছিল। কারও চিন্তা ছিল সমাজতন্ত্র করবো, কেউ সমাজকে পাল্টে দেবো, কেউ ধর্মীয় ব্যবস্থাকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করবো... সব মিলিয়ে ছিল। তারপর যখন যুদ্ধ (মুক্তিযুদ্ধ) শুরু হয়েছিল, তখন সবাই এক হয়েছে লড়াই করার জন্য। আজ ২০২৪ সালেও একই ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন চিন্তা-ভাবনা নিয়ে এসেছি সবাই। কিন্তু যেদিন ছাত্রদের উপর গুলি করা হয়েছে, তখন সবাই এক হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আসুন আজকে ঠিক একইভাবে সবাই এক হয়ে যাই। সমস্যা আছে, সমাধান হবে। ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাই তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন, বিশ্বাসও আছে তিনি সফল হবেন। আসুন সবাই মিলে তাকে সাহাস্য করে নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি। তবে, একটা কথা জোর দিয়ে বলতে চাই, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্রকে চাপিয়ে দেওয়া যায় না। এটা চর্চা করতে হবে।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম সবুজের মেয়ে সাবরিনা ইসলাম রহমান। আর সভায় সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের চেয়রাম্যানের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান।

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: