ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ দুই নেতা রিমান্ডে
 প্রকাশিত: 
 ২৪ আগস্ট ২০২১ ২০:৫১
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৫৪
 
                                ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রুমিকে ২ দিনের রিমান্ড পাঠিয়েছেন আদালত।
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ এবং গাড়ি ভাংচুরের মামলায় মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী নিহার হোসেন ফারুকসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল (সোমবার) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সহ-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রুমিকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট সকাল ১১টায় চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যাওয়া নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়লে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তবে বিএনপির অভিযোগ, শুধু টিয়ারশেল নয়, গুলিও চালিয়েছে পুলিশ।
পরে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পের গাড়িসহ যন্ত্রপাতি ভাংচুর করেন। এ ঘটনায় মেট্রোরেল প্রকল্পের অ্যাডমিন অ্যান্ড সিকিউরিটি অফিসার আব্দুস সালাম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ এবং গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে। শেরেবাংলা নগর থানায় মঙ্গলবার রাতে এসব মামলা করা হয়।
থানার ওসি জানে আলম মুন্সী বলেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ দুটি এবং পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের করা মামলায় বলা হয়েছে, তাদের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে তাদের ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আর সরকারি কাজে বাধা, মারধরের অভিযোগে পুলিশের পক্ষ অন্য মামলাটি করা হয়েছে।
এর মধ্যে পুলিশের করা মামলায় বিএনপির ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ ১৫৫ জনকে এবং মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের মামলায় অজ্ঞাতসংখ্যক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে ওসি জানে আলম মুন্সী বলেন, আমরা এরইমধ্যে ৪৭ জনকে গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতার ব্যক্তিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: