জামায়াতের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ রিজভীর
প্রকাশিত:
৬ জুলাই ২০২৫ ১৬:৪৫
আপডেট:
৬ জুলাই ২০২৫ ২২:৫৬

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একদিকে নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে, আবার অন্যদিকে প্রার্থীদের মনোনয়ন দিচ্ছে। এটা হচ্ছে দ্বিচারিতা। পত্রিকা খুললেই দেখা যায়, বিভিন্ন সংসদীয় আসনে জামায়াতের অমুক নেতাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে—এমনভাবে ৩৩ থেকে ৩৪টির বেশি আসনের ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
আজ রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, যুগ যুগ ধরে জামায়াত জনগণের মনোভাব বুঝতে চায়নি। যদি বুঝতে চাইত, তাহলে একাত্তরের বিরোধিতা করত না। ১৯৮৬ সালে শেখ হাসিনার সঙ্গে গিয়ে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্বাচনে অংশ নিত না। গণতন্ত্রে জনগণের যে মূল্য আছে, তারা সেটা পাত্তা দিতে চায় না। নিজেদের নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে গিয়ে বারবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এমনকি বর্তমানে মানুষের পালস বুঝতে না পেরে নির্বাচন পেছানোরও পাঁয়তারা করছে।
কারবালার ইতিহাসের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই যুদ্ধ ছিল ন্যায় আর অন্যায়ের এক সংঘর্ষ। একদিকে ন্যায়ের পক্ষে ইমাম হুসাইন (রা.)-এর বাহিনী আর অন্যদিকে অন্যায়ের পক্ষে ইয়াজিদের বাহিনী। এই লড়াই ছিল একদিকে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, আরেকদিকে স্বৈরাচারের শক্তি।
ইমাম হুসাইন (রা.)-এর বাহিনী ছিল গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি। তারা যে ধারাবাহিকতায় খলিফা নির্বাচিত হতেন—খোলাফায়ে রাশেদিন—সেটা একেবারেই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হতো। আর ইয়াজিদের বাহিনী সেই গণতন্ত্রকে পুরোপুরি ধ্বংস করে রাজতন্ত্র ও স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন-লড়াই করছি, তাদের জন্য কারবালার এই ইতিহাস শিক্ষণীয়। যারা মানবতার কল্যাণে বিশ্বাস করে, তাদেরকে এই ঘটনা কাঁদিয়েছে।
রিজভী বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যক্তি বা দলকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার জন্য নির্বাচনের সময় বৃদ্ধি করবেন না—এটাই আশা করি।
ডিএম /সীমা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: