মঙ্গলবার, ৮ই জুলাই ২০২৫, ২৪শে আষাঢ় ১৪৩২


দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসন সহযোগিতা করছেনা


প্রকাশিত:
৮ জুলাই ২০২৫ ১৪:৩৩

আপডেট:
৮ জুলাই ২০২৫ ২০:৫৭

ছবি সংগৃহীত

দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএনপি থেকে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে নানাবিধ সামাজিক অপরাধের বিভিন্ন মাত্রার প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনিক স্থবিরতার কারণেই ‘মব কালচারের’ প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কালো টাকা এবং গোপন অপতৎপরতার প্রভাবে ‘মব কালচার’ এর নামে সমাজে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা চলছে।

তার দাবি, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বার্থান্বেষী মহল বিএনপির নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই পরিকল্পিত অপপ্রচার, অপতৎপরতা সামাজিক অশান্তি গণতন্ত্রের পথচলাকে বাধাগ্রস্ত করা এবং নির্বাচন পেছানোর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বলে জনগণ মনে করে।

শেখ হাসিনার আমলে অদ্ভুত উন্নয়নের বয়ানের মতো এখন নির্বাচন পেছানো নিয়ে নানা ধরনের বয়ান দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন রিজভী।

বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, দলের ভেতরে থেকে অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত হলে তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। এরইমধ্যে বেশ কিছু নেতাকর্মীকে বহিষ্কার, অব্যাহতি প্রদান, পদ স্থগিত, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, দলের পক্ষ থেকে এহেন চলমান সাংগঠনিক ব্যবস্থার বিষয়ে গণমাধ্যমে খুব একটা উল্লেখ করা হয়নি। উপরন্তু, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঢিলেঢালা ভূমিকা রহস্যজনক। দলের পক্ষ থেকে বারবার অপরাধী ও বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলেও প্রশাসন নির্বিকার থাকছে। দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দল থেকে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন খুব একটা সক্রিয় হয়নি বলে মনে করেন রিজভী। তার মতে, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে কেউ-কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কলকাঠি নাড়ছেন বলে স্পষ্টত প্রতীয়মান হয়। এ রকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে সমাজ সংস্কৃতি, সভ্য আচরণ বিপন্ন হয়ে পড়বে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী আমলের কালো টাকা ও তাদের দোসরদের ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ তৎপরতার কারণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে এবং সমাজে নৈরাজ্য তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টির আলামত দেখা যাচ্ছে।

রিজভী আরও বলেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু দল যখনই এ ধরনের ঘটনা অবহিত হয় তখনই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দ্বিধা করেনি। বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই গণতান্ত্রিক সংবিধান ও সুশাসনের জন্য আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নির্মাণ করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং এর জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম করে এসেছে।

দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসন সহযোগিতা করছেনা

দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএনপি থেকে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে নানাবিধ সামাজিক অপরাধের বিভিন্ন মাত্রার প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনিক স্থবিরতার কারণেই ‘মব কালচারের’ প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কালো টাকা এবং গোপন অপতৎপরতার প্রভাবে ‘মব কালচার’ এর নামে সমাজে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা চলছে।

তার দাবি, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বার্থান্বেষী মহল বিএনপির নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই পরিকল্পিত অপপ্রচার, অপতৎপরতা সামাজিক অশান্তি গণতন্ত্রের পথচলাকে বাধাগ্রস্ত করা এবং নির্বাচন পেছানোর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বলে জনগণ মনে করে।

শেখ হাসিনার আমলে অদ্ভুত উন্নয়নের বয়ানের মতো এখন নির্বাচন পেছানো নিয়ে নানা ধরনের বয়ান দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন রিজভী।

বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, দলের ভেতরে থেকে অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত হলে তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। এরইমধ্যে বেশ কিছু নেতাকর্মীকে বহিষ্কার, অব্যাহতি প্রদান, পদ স্থগিত, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, দলের পক্ষ থেকে এহেন চলমান সাংগঠনিক ব্যবস্থার বিষয়ে গণমাধ্যমে খুব একটা উল্লেখ করা হয়নি। উপরন্তু, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঢিলেঢালা ভূমিকা রহস্যজনক। দলের পক্ষ থেকে বারবার অপরাধী ও বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলেও প্রশাসন নির্বিকার থাকছে। দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দল থেকে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন খুব একটা সক্রিয় হয়নি বলে মনে করেন রিজভী। তার মতে, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে কেউ-কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কলকাঠি নাড়ছেন বলে স্পষ্টত প্রতীয়মান হয়। এ রকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে সমাজ সংস্কৃতি, সভ্য আচরণ বিপন্ন হয়ে পড়বে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী আমলের কালো টাকা ও তাদের দোসরদের ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ তৎপরতার কারণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে এবং সমাজে নৈরাজ্য তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টির আলামত দেখা যাচ্ছে।

রিজভী আরও বলেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু দল যখনই এ ধরনের ঘটনা অবহিত হয় তখনই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দ্বিধা করেনি। বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই গণতান্ত্রিক সংবিধান ও সুশাসনের জন্য আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নির্মাণ করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং এর জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম করে এসেছে।

ডিএম /সীমা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top