সালাউদ্দিন কাদের কেন প্রাণভিক্ষা চাননি, যা বললেন ছেলে হুম্মাম
 প্রকাশিত: 
 ১৪ আগস্ট ২০২৫ ১৭:০৪
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ২২:০৫
                                আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ‘জুডিশিাল কিলিং রায়’ এর মধ্য দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ প্রমাণে তথ্যাদি সংগ্রহে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উকিল নোটিশ পাঠাবে তার পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডির বাসায় পরিবারের সদস্যদের পক্ষে তার ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ধানমন্ডির বাসা কিউ সি রেসিডেন্সে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এই বাসায় তার সহধর্মিনী ফরহাত কাদের চৌধুরী তার দুই সন্তান বড় ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী ও ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে নিয়ে বসবাস করেন।
হুম্মাম কাদের বলেন, ‘চারজন ব্যক্তি বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছিলেন… তারা বাবার ডিফেন্স উইটেস হিসেবে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন। তবে ট্রাইব্যুনাল সেটাও নাকচ করে দেন। তারা ছিলেন, মুনীম আরজুমান খান, আমবার হারুন সাইগেল, ইশহাক খান খাগওয়ানি ও নিয়াজ আহমেদ নূর। এই চারজন ব্যক্তি পরবর্তিতে ইউটিউবের মাধ্যমে নিজেরা তাদের এভিডেন্স দিতে চেয়েছিলেন সেটা পাবলিশ করে দেন।’
‘এই ব্যক্তিগুলো প্রমাণ করতে পারতেন যে, আব্বা ১৯৭১ সালে পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি ছিলেন। এই নামগুলো বলার কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশ ফরেন মিনিস্ট্রি তাদের বিদেশী দূতাবাস যেগুলো আছে সেখানে যখন কোনো ম্যাসেজ পাঠানো হয় সেগুলোকে সাইফার বলা হয়। সেই সাইফার ম্যাসেজগুলোকে বেশিরভাগ সময় কোডেড সিক্রেট থাকে। এটার একটি সাইফার ম্যাসেজ আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছেন। এতে বলা আছে এই চার জনের নাম উল্লেখ করে বলা আছে যে, কোনোভাবে তাদেরকে যেন ভিসা না দেয়া হয়। এই সাইফার ম্যাসেজের মাধ্যমে প্রমাণ হচ্ছে যে, আব্বার সাথে একটা খুব বড় অন্যায় হয়েছে… আমার বাবাকে তারা কোনোভাবেই ফেয়ার জাস্টিসের কাছেধারেও আনতে পারলো না, আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে…এটা একটা জুডিশিয়াল মাডার ছিলো। এর সাথে আওয়ামী লীগের রেজিমের সরকার সরাসরি জড়িত ছিলো।’
হুম্মাম বলেন, ‘আপনারা বুঝতে পারছেন যে, সাক্ষীদেরকে বাংলাদেশে না আসতে দেয়া একজন মানুষকে ডিফেন্স ঠিক মতো না দিতে দেয়া কত বড় অনিয়ম হয়েছিলো। আমরা আহ্বান করতে চাই, আমরা বর্তমান ফরেন মিনিষ্ট্রিকে একটা লিগ্যাল নোটিশ পাঠাচ্ছি। আমরা তাদের কাছে ডিমান্ড করছি এই সাইফার ম্যাসেজগুলো ডি-ক্লাসিফাই করে দেয়া হোক।’
‘আমার বাবার ট্রায়ালের সাথে যতগুলো সাইফার ম্যাসেজ জড়িত আছে প্রতিটা যেন ডি-ক্লাসিফাই করে দেয়া হয় এবং সেগুলোকে যেন আমাদের কাছে হস্তান্তর করা। আমরা রোববারই নোটিশ পাঠাবো। আমি আশা করি, আপনারা আমাদেরকে এই হত্যার ন্যায় বিচার পেতে সহযোগিতা করবেন।’
একই সঙ্গে ‘এই সাইফার ম্যাসেজের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যারা জড়িতদের নাম’ প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রাণভিক্ষা চায়নি
হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ‘আমি ফাঁসির আগে বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আব্বা তুমি কোনো মার্সি পিটিশন ফাইল করেছো কি না? আমার বাবা বলেছিলেন, ‘আমি ৬ ফুট ২ ইঞ্জি লম্বা মানুষ.. মাথা কারো কাছে নিচু হবে না। আমি আল্লাহর কাছে যাচ্ছি গিয়ে, আল্লাহর কাছে গিয়ে বিচার চাইব।’
‘এখানে মার্সি পিটিশনের কথা তো আসেই না। ওই সময়ে যে কাগজটা আমার হাতে দেখেছেন ওটা একটা রি-ট্রায়ালের পিটিশন আমি নিজে নিয়ে গিয়েছিলাম রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি(আবদুল হামিদ) সাহেব আমার সাথে তখন দেখা করেনি।উনিও লজ্জায় ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘এখনো বলছি, সরকারের কাছে যদি কোনো মার্সি পিটিশন থেকে থাকে আমিও তা দেখতে চাই।’
এরপর আদালতে যাবে পরিবার
হুম্মাম বলেন, ‘এগুলো আমরা মিডিয়া ট্রায়ালের জন্য করছি না। আমাদের আমাদের কাছে অলিরেডি যেই এভিডেন্স আছে এই এভিডেন্স নিয়েই কিন্তু আমরা সরাসরি হাইকোটে যেতে পারি। আমরা চাচ্ছি যে, এই সরকার(অন্তবর্তীকালীন সরকার) এবং বর্তমান জুডিশিয়ারিকে সন্মান দেখিয়ে তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা বার কোর্টে যাবো।”
‘ আশা করি, আমরা প্রমাণ করতে পারব যে, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নির্দোষ ছিলেন এবং তাকে জুড়িশিয়াল মাডার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন. ‘ আমরা ইতিমধ্যে আইনজীবীদের সাথে আলাপ করেছি যে, এটার গ্রাউন্ড ক্রিয়েট করে দেয়। আমরা রিটের মাধ্যমে ইনশাল্লাহ কোর্টে যেতে পারব। আশা করছি যে, অন্তত: আমরা যদি সরকারের সহযোগিতাটা পাই, এগুলো যদি ডি-ক্লাসিফাই হয়ে যায় তাহলে ওই এভিডেন্সটা নিয়েই আমরা আদালতে যাবো।’
‘আমরা এখন কোর্টে যেতে পারি কিন্তু আমরা সব ফরমালিটি মেন্টেইন করেই কোর্টে যাব। আশা করছি রোববারই আমরা আদালতে পিটিশন করব।’
তিনি বলেন, ‘আমার আব্বাকে যখন ডেফিন্ড করতে চেয়েছিলাম তখন বলা হয়েছে যে, আপনাদের তো এতো ডিফেন্ট করার দরকার নাই। আপনারা তো বলছেন যে, আপনাদের মক্কেল দেশে ছিলো না।’
‘তো আমার বাবা যে দেশে ছিলেন না সেটা প্রমাণ করার জন্য কিন্তু আমরা ডিফেন্স উইনেস আনতে পারিনি। এই সাইভারের মাধ্যমে ব্লক করে রাখা হয়েছিলো।’
‘একটা গুলিতেই বাবাকে শেখ হাসিনা হত্যা করতে পারত’
হুম্মাম বলেন, ‘এই আইসিটির মাধ্যমে তারা যাদেরকে মেইন এনিমি হিসেবে দেখতো তাদেরকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
‘বাবাকে শেখ হাসিনা চাইলে হয়ত একটা গুলিতে হত্যা করতে পারতেন।তার লক্ষন কিন্তু এটা ছিলো না, তার লক্ষন ছিলো যে, আব্বার যে রাজনীতিটা আছে সেটাকে ধবংস করে দেয়া। আব্বা একজন ন্যাশলিস্ট হিসেবে পরিচিতি ছিলেন।’
২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর রাতে পুরনো ঢাকায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদন্ড কার্য্কর করা হয়। ওইদিন একই সময়ে জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদেরও মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালে ১ অক্টোবর মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়। এই রায় পরবর্তিতে উচ্চ আদালতও বহাল রাখে।
রায় লেখা হতো ল‘ মিনিস্ট্রিতে’
হুম্মাম বলেন, ‘আমার বাবার বিরুদ্ধে ২০টা অভিযোগ এনেছি… এজন্য আইসিটি খালি চার জন সাক্ষী এলাউ করেছিলো। আমরা তাও লড়াই করে গেছি। আপনাদের মনে আছে, আমাদেরই একজন ততকালীন একজন জজ তিনি নিজে সাক্ষ্য দিতে আসতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, ওই সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটিতে তার সাথেই ছিলেন। উনি তখন জাস্টিস এসকে সিনহার কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন।কিন্তু জাসিস্ট সিনহা অনুমতি দেননি।’
‘আব্বার কেইস চলাকালে স্কাইপে ফাঁস হয়েছিলো যেখানে জাস্টিস নাজিম বলেছেন যে, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ফাঁসি দিতে পারলে আমাকে সুপ্রিম কোর্টে আপীল বিভাগে জায়গা খালি আছে সেখানে আমাকে জায়গা দিয়ে দেবে। আজকে এখানে আমি বলতে চাই, সেদিন রায় ঘোষণা করা হয় সেদিন আমার বাবার হাতেই রায় ছিলো…সেই রায়টাও মিনিস্ট্রি থেকে বের হয়ে এসেছিলো।’
গ্রেফতারে করে তাকে চরমভাবে নির্যাতন করা হয়েছিলো
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী বলেন, ‘‘ আমার কাছে এথনো ভিডিও গুলো আছে… আমি জানি না কে একজন ভিডিও গুল আমাদের কাছে পাঠিয়েছিলো… যখন রাতে বেলা উনাকে নিয়ে যায় তখন সারা রাত টর্চার করে পিজি হসপিটালে নিয়ে যায়… পিজি হাসপাতালের একটা ভিডিও উনাকে যখন বের করে আনছে সেখানে দেখা গেছে তাকে মেরে্ছে… তার এখানে-ওখানে রক্ত।”
ফরহাত কাদের চৌধুরী বলেন, ‘এতো মানুষকে মেরেছে এরা… আমি চাই না ওরকমভাবে কারো টর্চার হোক। আর এই গভার্মেন্ট বোধহয় ওরকমভাবে টর্চার করছেও না। কিন্তু তখন বেশিরভাগ মানুষ চুপ ছিলো… জার্নালিস্টরা দেখেছিলো যে, উনার (সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী) পুরো কাপড়ে রক্ত… এখন কি এমনটি দেখেন? ছয়বার উনি সংসদ সদস্য ছিলেন ফ্রম ’৭৯ টু ২০১৩… সিটিং এমপি ছিলেন… কিন্তু সিটিং এমপি হিসেবে অনেক নির্যাতন সহ্য করেছেন। আমি চাই না, যার মাধ্যমে আমার হাসবেন্ডকে হত্যা করা হয়েছে ওরকম যেন এখন না হয়, আর যেন কাউকে এমন নির্যাতন না করে যেমনটি আমার হাসবেন্ডকে এবং আমার পরিবারকে করেছে।’
বিদেশিরাও জানতো আব্বাকে হত্যা করা হবে
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বড় ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী বলেন, ‘ আমরা যখন আব্বার জীবনটা বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন দূতাবাসে দৌঁড়াচ্ছিলাম, আব্বাকে বাঁচাতে আমরা যখন লড়াই করছিলাম… বিদেশিরাও কিন্ত জানতো… বিদেশিরা আমাদেরকে এটা বলেছিলো যে, ট্রাইব্যুনালটা করেছে একটা সো করবার জন্যে। কিন্তু ওটা তারা ওপেনলি আমাদেরকে বলতে পারেনি।”
‘তাদের (বিদেশীদের) মুখে আমরা শুনেছিলাম যে, এই ট্রাইব্যুনালটা করা হয়েছিলো খুন করবার জন্যে। একটা জিনিস প্রমাণ করার জন্যে যে, শেখ হাসিনা খুন করতে পারে। এ্টাই কিন্তু আমার বাবাকে ফাঁসি দিয়ে, বাকিদেরকে ফাঁসি দিয়ে একটা জিনিস তখনই তার(শেখ হাসিনার) যে ক্ষমতা, ভয়-ভীতি দিয়ে সে সবাইকে চালাতে পারতো সেই জিনিসটা সে প্রমাণ করতে চেয়েছিলো এবং সেটাই সে করতে পেরেছে গত ১৫ বছর ধরে। এখন দেশের ১৮ কোটি মানুষ সবাই জানে যে, শেখ হাসিনা খুন করতে পারে।”
তিনি বলেন, ‘শেখ খুন করতে পারে আমরাই তখন বুঝেছি। আব্বা ছিলো সেখানে একটা ভিকটিম কো-লেটারেল ডেমেজ। তাকে খুন করে শেখ হাসিনা চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলো… এটাই ছিলো তার মূল টার্গেট।”
‘আইসিটি ছিলো বির্তকিত’
হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ‘‘ দেখুন ট্রাইব্যুনালটাই যে বিতর্কিত ছিলো এটা পুরো বাংলাদেশ না, পুরো বিশ্বই জানে। তবে আমাদেরকে স্পেসেফিকভাবে এভিডেন্স নিয়ে কোর্টে যেতে হচ্ছে। সেই জন্য এই এভিডেন্স নিয়ে কোর্টে আমরা যাব।
‘‘ আমি বলে দিতে পারি এই ট্রাইব্যুনালটা একটা কনট্রোভারশিয়াল ট্রাইব্যুনাল ছিলো। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি তখন কামব্যাক করতে কিন্তু তখন ওই সুযোগ ছিলো না। কারণ পুরো সরকার ওটাকে প্রোটেক্ট করে রেখেছি। বর্তমান সরকার আশা করছি আমাদেরকে সহযোগিতা করবে।
‘সাক্ষীরা ছিলো সাজানো’
হুম্মাম বলেন, ‘যারা সাক্ষী দিয়েছে তাদের সাথে আমরা আলাপ করেছি… তারা বলেছে, তাদেরকে অনেকদিন ট্রেনিং দেয়া হয়েছিল। তারা বলেছে, আমাদেরকে অনেক দিন টর্চার করা হয়েছে, চাপ দেয়া হয়েছে… এভাবে করেই আমরা সাক্ষী দিতে বাধ্য হয়েছি।’
‘ দেখেন আমরা বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ অনেক কিছু সহ্য করে এসেছে… আমরা তাদেরকে আবার ট্রমাটাইজ করে ওটার মধ্যে আমরা যেতে চাচ্ছি না। আমরা যেটা চাচ্ছি, আমাদের কাছে বর্তমানে যেসব কাগজ আছে সেগুলো নিয়েই আমরা আদালতে যাব। তবে কোনো সাক্ষী নিজে সহযোগিতা করতে চাইলে তাহলে ওয়েলকাম করব’, বলেন হুম্মাম।
এই ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমির, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেলসহ শীর্ষ নেতাদেরও ফাঁসি হয়েছে ফলে আপনি পুরো ট্রাইব্যুনালে বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘ পুরো ট্রাইব্যুনালটাই ছিলো বিতর্তিক, পুরো বিচার প্রক্রিয়াটা প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো, এখনো আছে।”
‘এখন আপনারা ওই সময়ে প্রকাশিত স্কাইপের বিষয়টা ধরে নেন, তাহলে তো ওই সূঁতা ধরে এই ট্রাইব্যুনাল টিকতো না। তবে হাসিনার আদেশ ছিলো যেভাবে হোক এই ট্রাইব্যুনালকে টিকিয়ে রাখতে হবে আর বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের বক্তব্য তো আ্পনারা শুনেছেনই… এই ব্যক্তিগুলোকে ফাঁসি দিতেই হবে… তারা তো অপেক্ষা করেনি যে এভিডেন্স কি আসছে অথবা স্টেটমেন্ট কে কি দিচ্ছে… তাদের ডিসিশন যেদিন ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিলো ওইদিনই হয়ে গিয়েছিল। সকলে কিন্তু এক ব্যক্তির অর্ডারে কাজ করেছেন সেটা হচ্ছে, শেখ হাসিনা। আমাদের বিশ্বাস একদিন না একদিন শেখ হাসিনার বিচার হবে।’
‘শেখ পরিবার ও চৌধুরী পরিবারের মধ্যে বন্ধুত্ব থাকার পরও কেনো এমনটা হলো?’
ছোট ছেলে হুম্মাম বলেন, ‘নামটা অনেক বড় ছিলো যে… সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নামটা বড় এটা শেখ হাসিনার সহ্য হচ্ছিল না। জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদদের মধ্যে আমার বাবার নামটা অনেক বড় ছিলো।’
‘আপনারা দেখবেন যতগুলো ডানপন্থি রাজনীতিবিদ ছিলেন বেশিরভাগের ওপরই এই ধরনের জুলুম হয়েছে...আপনি ইলিয়াস আলী সাহেবের কথা চিন্তা করে দেখেন, আপনি সালাহউদ্দিন আহমদ সাহেবের কথা চিন্তা করে দেখেন… সবার উপরে কী ঘটেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরীর সহধর্মিনী ব্যারিস্টার ডানিয়া খন্দকার এবং মাহবুবুল আহসান উপস্থিত ছিলেন।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: