বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১


জিয়াউর রহমানের অবদান কেউ খাটো করতে পারবে না


প্রকাশিত:
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০২:১৯

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ০৫:৪৪

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

খেতাব কেড়ে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানকে কেউ খাটো করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি আগে বলেছি, এদেশের মানুষ জামুকার সিদ্ধান্ত কখনোই মেনে নেবে না। এটা গ্রহণযোগ্য হবে না। জিয়াউর রহমানের অবদানকে কেউ খাটো করে দেখাতে চাইলে খাটো করে দেখাতে পারবে না। এই খেতাব তো তিনি অর্জন করেছেন। এটা কারো দয়ায় পাওয়া নয়। যুদ্ধ করেছেন উনি এবং সেটা উনি পেয়েছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন, উনি সেটা অর্জন করেছেন। সুতরাং এটা নিয়ে আমরা মনে করি যে, জিয়াউর রহমানের কোনো রকমের কোনো ক্ষতি তারা করতে পারবে না।’

সিঙ্গাপুরে টিকা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সেখানে (সিঙ্গাপুর) বিদেশিদের টিকা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা এখানে এসে দেখব কি অবস্থা। রেজিস্ট্রেশন করে তখন চেষ্টা করব। শরীরের অবস্থা কেমন প্রশ্ন করা হলে ফখরুল বলেন, ভালো না। আমি অসুস্থ, এখনো সুস্থ নই। সিঙ্গাপুরে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিরে থেকে তারপরে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফিরছি।’

সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বাংলাদেশ ব্যংকের সাবেক গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সৈয়দ আবুল মকসুদ আমার ব্যক্তিগত বন্ধু ছিলেন। আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি তার মৃত্যু সংবাদে। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সাহেব নিঃসন্দেহে এই দেশের একজন মানুষ যাকে বলা যেতে পারে যে, এ ম্যান অব ইন্ট্রিগ্রেটি, ম্যান অনেস্টি এন্ড ডিগনেটি। ব্যাংকিং সেক্টরে তিনি একজন দিকপাল ছিলেন। দুই জনের মৃত্যুতে জাতি দুই জন অত্যন্ত যোগ্য মানুষকে হারালো।’

সন্ধ্যায় ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মির্জা ফখরুল স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে দেশে ফেরেন। বিমানবন্দরের টার্মিনালের হুইল চেয়ারে করে গাড়ির কাছে আসেন এবং হুইল চেয়ারে বসেই তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। গত ৩০ জানুয়ারি স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান বিএনপি মহাসচিব। সেখানে ফারার পার্ক হসপিটালে তার চিকিৎসা হয়।

২০১৫ সালে কারাবন্দী অবস্থায় ঘাড়ে ইন্টারন্যাল ক্যারোটিভ আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়লে সিঙ্গাপুরে তার চিকিৎসা করেছিলেন ফখরুল। প্রতিবছরই ফলোআপ করতে তাকে সিঙ্গাপুর যেতে হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবর তিনি সিঙ্গাপুর যান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top