বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


‘আ.লীগ ভাসানী-ওসমানী-তাজউদ্দীনের নামও উচ্চারণ করে না’


প্রকাশিত:
৮ মার্চ ২০২১ ১৮:৪৩

আপডেট:
৮ মার্চ ২০২১ ২১:৩১

ছবি- সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের রাজনীতি সংকীর্ণ মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নাম একবারও উচ্চারণ করে না। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানীর নামও উচ্চারণ করে না। শুধু তাই নয়, যুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের নামও উচ্চারণ করে না। এরা কত সংকীর্ণ। নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে ক্ষমতায় টিকে থাকতে, একজন মানুষ ও পরিবারকে মহিমান্বিত করতে মিথ্যা ইতিহাস চাপিয়ে দিচ্ছে। সেজন্য আমরা একেকদিন একেক বিষয়ের ওপর অনুষ্ঠান করে সত্য ইতিহাস তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি।

রোববার (০৭ মার্চ) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি। এই প্রথমবারের মতো বিএনপি এ দিনটি পালন করে।

জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, খেতাবে কী আসে যায়, জিয়াউর রহমানের খেতাবের প্রয়োজন হয় না। তিনি মানুষের হৃদয়ে বসে আছেন। তাকে এত সহজে মুছে ফেলা যাবে না। এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেরও কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা কাউকে ছোট বা কাউকে বড় করতে চাই না। আমরা চাই নতুন প্রজন্মের কাছে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে। আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের সেটাই অন্যতম লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাদের প্রশ্ন করছেন যে, আপনারা আগে তো সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেননি। আমরা সুবর্ণজয়ন্তীর একটি দিন হিসাবে ৭ মার্চ পালন করছি। ইতঃপূর্বে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আর আসেনি। আমরা প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে এ দিনটি পালন করছি।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ৭ মার্চ লাঠিসোটা নিয়ে আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হয়েছিলাম। আশা ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা আসবে, কিন্তু আসেনি। পাকিস্তানি কাঠামোর মধ্য থেকে কিভাবে প্রধানমন্ত্রী হবেন সেটাই ছিল ভাষণের অন্যতম লক্ষ্য।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ জনসভাস্থলে উপস্থিত হয়ে শুনেছেন দাবি করে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যের প্রতিটা বাক্যে জনগণ উত্তেজিত, এ বুঝি স্বাধীনতার ঘোষণা আসবে। কিন্তু ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণাটা জনগণ পাননি। ৭ মার্চের ভাষণ বলা হচ্ছে, স্বাধীনতার ঘোষণা বলা হচ্ছে না। স্বাধীনতার ঘোষণা আর ভাষণ এক জিনিস নয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top