বিদেশি নির্ভর মোহামেডান-আবাহনী
প্রকাশিত:
১৬ আগস্ট ২০২৫ ১৫:৫৯
আপডেট:
১৬ আগস্ট ২০২৫ ১৮:০২

প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে এবার শুরু থেকেই বিদেশি ফুটবলার নিয়ে খেলবে আবাহনী। আগেই রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিল মোহামেডান থেকে আসা সুলায়ামন দিয়াবাতেকে। আর পরশু রাতে খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশনের শেষ সময় আবাহনী আরও দুই জন ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে।
নাইজেরিয়ান এমেকা ওগবুকে। আক্রমণ ভাগের এই ফুটবলার গত মৌসুমেও আবাহনীতে খেলেছেন। মিডফিল্ড পজিশনে ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো মাতোকে নিয়েছে লিগের বর্তমান রানার্সআপ আবাহনী।
তবে আবাহনী বুঝতে পারছে দলে বিদেশি শক্তি বাড়ালে চেহারা পালটে যেতে পারে। বসুন্ধরা কিংস, মোহামেডানসহ অন্যান্য দলের শক্তির বিচার করে দেখেছে আবাহনী। সেটা বর্তমান দিয়াবাতে ম্যানেজমেন্ট উপলব্ধি করতে পারছে। একটু শক্তি বাড়ালে আবাহনী আরও ভালো কিছু করতে পারবে। দেরিতে হলেও বিদেশি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে আবাহনী। চ্যালেঞ্জ কাপে দিয়াবাতে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন। তার পাশে খেলে সাপোর্ট দেওয়ার মতো ফুটবলার থাকলে আবাহনীর আক্রমণ ঠেকাতে প্রতিপক্ষকে বেগ পেতে হবে। কোচ মারুফুল হক অনুরোধ জানিয়েছিলেন অন্তত দুই জন বিদেশি ফুটবলার নেওয়া হোক। তার চাওয়া পূরণ হয়েছে। দিয়াবাতের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন আরও দুজন।
এছাড়াও আক্রমণভাগে শেখ মোরসালিন, আল আমিন, কাজেম শাহ রয়েছেন দলে। আছেন ইব্রাহিম, জাফর ইকবাল, মিরাজুলরা। গোলরক্ষক রয়েছে শহিদুল আলম, মিতুল মারমা, রাফিজ, পাপ্পু হোসেন, শামীম হোসেন, মাহফুজ হাসান প্রীতম। রক্ষণে ফাহিম, সবুজ হোসেন, আসাদুজ্জামান বাবলু, কামরুল হাসান, ইয়াসিন খান, শাকিল হোসেন, আলমগীর মোল্লা, শাকির আহমেদ প্রমুখ।
আবাহনীর ফুটবল ম্যানেজার সত্যজিত দাস রূপুর ছেলে তন্ময় দাসকে এবারও ফুটবলার হিসাবে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন। তার ছেলে কোথাও খেলেনি। অথচ বাবার সুবাদে ছেলে আবাহনীর ফুটবলার হিসাবে রেজিস্ট্রেশন হয়। আবাহনীর জার্সি এক সময় ফুটবলারদের কাছে একটা স্বপ্ন ছিল। ৩০ জনের মধ্যে থাকা প্রথম স্বপ্ন পূরণ, ১৮ জনে জায়গা পেলে স্বপ্নের আরেক ধাপ আগায়। আর যদি একাদশে সুযোগ পাওয়া যায় তাহলে স্বপ্ন পূরণ হয় ফুটবলারের।
রূপু গোপীবাগের ছেলে। ওখানেই তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও ব্রাদার্সের মাঠে রূপু-বাদল দাসরা অনুশীলন করে গেছেন। ফুটবলে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য রূপুর পরিশ্রমের কথা আজও মনে আছে। ফরাশগঞ্জ ব্রাদার্স আবাহনী মুক্তিযোদ্ধা হয়ে আবার আবাহনীতে ফিরেছেন রূপু। কোনো কষ্টই করতে হয়নি রূপুর ছেলেকে, কোন ধাপ পার হতে হয়নি। বাবার পরিচয়ই যথেষ্ট।
সাফ অঞ্চলের ফুটবলার নেওয়ার সুযোগ থাকলেও আবাহনী কিংবা মোহামেডান সে পথে যায়নি। মোহামেডানে খেলবেন আবাহনী থেকে আসা সুমন রেজা, ব্রাদার্স থেকে আসা রহমত মিয়া। গোলপোষ্টে সুজন এবং সাকিব আল হাসান আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। এছাড়াও বাল্লু, সানোয়ার লাল, রাজিব, মেহেদি হাসান, সৌরভ দেওয়ানরা দল ছাড়েননি।
তবে মোহামেডান এবারও বিদেশি নির্ভর দল গড়েছে। উজবেকিস্তানের মোজাফফরভ আস্থার প্রতীক। তার সেটপিস কিংবা গোলের বল বানিয়ে দেওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছেন রহমগঞ্জ থেকে আসা স্যামুয়েল বোয়েটাং। দারুণ খেলেন এই ফুটবলার। ২১টা গোল করেছেন। এক ম্যাচে ডাবল হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। তার কাছ থেকে ভালো সার্ভিস পাওয়ার আশা করছে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান।
মোহামেডান সমর্থকরা দুর্ভাবনায় রয়েছে সুলায়মান দিয়াবাতে চলে যাওয়ায় তার জায়গা পূরণ হবে কি না। মোহামেডান ম্যানেজার নকিব, কোচ আলফাজ আহমেদ মনে করছেন আরও ভালো খেলা উপহার দেবেন বোয়েটাং। তারপরও আক্রমণভাগে দুই ঘানাইয়ান বার্নাড মরিসন এবং এমানুয়েল এলি কেকে প্রতিপক্ষকে ভাঙ্গার জন্য যথেষ্ট।
এছাড়াও মোহামেডানে রয়েছেন রাফায়েল টুডো, রাজু আহমেদ, শফিউল হোসেন, আসিফ, রাজু, আজিজুল হক আনাতা, জয়নাল আবেদিন দিপু, শেখ রানা, আরিফ হোসেন, জয় আহমেদ, মবিনুর রশিদ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: