সোমবার, ১৮ই আগস্ট ২০২৫, ৩রা ভাদ্র ১৪৩২


৬ গোলে হেরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নেইমাররা, চাকরি হারালেন কোচ


প্রকাশিত:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ১১:২৫

আপডেট:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ১২:৩৯

ছবি সংগৃহীত

মাঠে এবং মাঠের বাইরে মিলিয়ে সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না নেইমার জুনিয়রের। পিএসজি থেকে আল হিলালে গিয়ে ব্যর্থ ও ভুলে যাওয়ার মত এক অধ্যায় কাটিয়ে তিনি ফিরেছিলেন নিজের ঘরে।

সেই সান্তোসেও লম্বা সময় মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে তাঁকে। তার শৈশবের ক্লাব বাজে পারফর্ম করায় ভক্তদের দুয়োও শুনতে হয়েছে। তবে এবার যা হলো তা যেন ভুলেই যেতে চাইবেন নেইমার।

ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের কাছে বড় ব্যবধানে হার মানেই জার্মানির কাছে বিশ্বকাপে ৭-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হওয়ার স্মৃতি। তবে সেই ম্যাচে চোটের কারণে খেলতে পারেননি নেইমার, ফলে দুঃসহ সেই স্মৃতি হয়তো তাঁকে খুব একটা তাড়া করে না। তবে এবার নিজেও সরাসরি এমনই এক বিশাল হারের সাক্ষী হলেন। তবে সেটা জাতীয় দলের হয়ে নয়, তার শৈশবের ক্লাব সান্তোসের জার্সিতে।

নেইমারের সান্তোস গতকাল মাঠে নেমেছিল ভাস্কো দা গামার বিপক্ষে। ম্যাচের প্রথমার্ধ পর্যন্তও অবশ্য অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না। বিরতির আগে মাত্র এক গোল হজম করেছিলেন নেইমাররা। তবে দ্বিতীয়ার্ধেই পাল্টে যায় ম্যাচের অবস্থা।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে একে একে আরও ৫ গোল নেইমারদের জালে জড়ায় ভাস্কো দা গামার ফুটবলাররা। প্রতিপক্ষের এমন আক্রমণ ঠেকানোর কোনো উপায়ই জানা ছিল না নেইমারদের। শেষ পর্যন্ত ৬-০ গোলের হারল নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে নেইমারদের।

নেইমারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় হারের ঘটনা এটিই। এর আগে এই সান্তোসের জার্সিতেই একবার হেরেছিলেন ৪-০ গলের ব্যবধানে। সেটি আবার ২০১১ সালে ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে। এছাড়া বার্সেলোনার জার্সিতেও একবার পিএসজির কাছে ৪-০ গোলে হেরেছিলেন নেইমার।

এদিকে সান্তোসের জার্সিতে বিশাল এই হারের পর একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন নেইমার। ম্যাচ শেষে তার চোখ যেন আর কোনোভাবেই আবেগ সামলে রাখতে পারছিল না। এ সময় তাঁকে কাদতে দেখা যায়, হাত দিয়ে চোখের জল লুকোতে দেখা যায়। আর নেইমারদের এত বড় হারের পরই প্রধান কোচ ক্লেবার হাভিয়েরকে বরখাস্ত করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

ম্যাচ শেষে নেইমার বলেন, ‘আমি লজ্জিত। আমাদের পারফরম্যান্সে আমি সম্পূর্ণ হতাশ। সমর্থকদের প্রতিবাদের পুরোপুরি অধিকার আছে, অবশ্যই সহিংসতা পরিহার করে। তারা যদি গালি দেয় বা অপমান করে, সেটারও অধিকার তাদের আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা চরম লজ্জার অনুভূতি। জীবনে কখনো এমনটা হয়নি। দুর্ভাগ্যবশত এবার হলো। কান্না এসেছিল রাগ থেকে, যা ঘটেছে সবকিছুর জন্য। দুর্ভাগ্যবশত আমি সবদিক দিয়ে সাহায্য করতে পারি না। যা–ই হোক, পুরো ব্যাপারটাই ছিল একেবারে বাজে, এটাই বাস্তবতা।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top