মঙ্গলবার, ২রা সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ই ভাদ্র ১৪৩২


এশিয়া কাপে যা হবে, আগে কখনও ঘটেনি এমন কোনও ঘটনা!


প্রকাশিত:
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:০৬

আপডেট:
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৪৪

ছবি সংগৃহীত

এই বছরটি কি হতে চলেছে মানবজাতির ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব মোড়? বিশ্বের দুই বিখ্যাত ভবিষ্যৎবক্তা, বুলগেরিয়ার অন্ধ ভবিষ্যদ্রষ্ট্রী বাবা ভাঙ্গা (যিনি বহু বছর আগে মারা গেলেও তার বহু ভবিষ্যদ্বাণী এখনো সত্যি বলে মেনে নেওয়া হয়), এবং ‘লিভিং নস্ট্রাডামাস’ খ্যাত আথোস সালোমের অবাক করা ভবিষ্যদ্বাণীতে ২০২৫ সালকে ঘিরে গোটা বিশ্বে হৈচৈ পড়ে গেছে।

তাদের দাবি, এই বছরই মানুষ প্রথমবারের মতো এলিয়েনদের সঙ্গে মুখোমুখি হবে, এবং এই ঘটনা বিশ্বকে চিরতরে বদলে দেবে! বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি ঘটবে একটি বড় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টের সময়, যখন গোটা বিশ্বের দৃষ্টি এক জায়গায় থাকবে। এশিয়া কাপ, অলিম্পিক গেমস, অথবা ফিফা বিশ্বকাপের মতো কোনও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সময় ঘটতে পারে এই ঘটনা। যখন সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এই ইভেন্ট সরাসরি দেখবে, তখনই তারা টেলিভিশনের পর্দায় এলিয়েনদের লাইভ দেখতে পাবে! এমনটায় জানায় টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনটির তথ্য অনুযায়ী, বাবা ভাঙ্গা ও সালোমে, যারা সময়, সংস্কৃতি ও ভূগোলের দিক থেকে একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, তবু তাদের ভবিষ্যদ্বাণীতে রয়েছে অদ্ভুত মিল। তারা বলছেন, ২০২৫ সালে মানুষ এলিয়েনদের অস্তিত্বের অকাট্য প্রমাণ পাবে। এটা কোনো ঝাপসা ছবি বা গুজব নয়, বরং এমন এক ঘটনা, যা কোটি কোটি মানুষের সামনে প্রকাশিত হতে পারে। সালোমে আরও যোগ করেছেন, এই ঘটনা সরকারি স্তরে প্রকাশিত হতে পারে, যা বিশ্ববাসীকে স্তম্ভিত করে দেবে।

আথোস সালোমের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ২০২৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশ তাদের গোপন (ইউএফও) ফাইল প্রকাশ করবে। এই ফাইলগুলোতে থাকতে পারে এলিয়েনদের ছবি, জৈবিক নমুনা বা এমনকি তাদের মহাকাশযানের অংশবিশেষ! বাবা ভাঙ্গাও বলেছিলেন, এমন একটি ‘নাটকীয় উন্মোচন’ ঘটবে, যা মানবজাতিকে হতবাক করে দেবে। এই দুই ভবিষ্যদ্বাণী যেন একই সুরে কথা বলছে। একটি ঘটনা, যা চাঁদে মানুষের পা রাখা বা বার্লিন প্রাচীরের পতনের মতো ইতিহাসের পাতায় চিরকালের জন্য লেখা থাকবে।

সালোমে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ-এর কথা, যা এলিয়েনদের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ দিয়ে দূরবর্তী গ্রহের জীবনের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া সম্ভব হতে পারে। বাবা ভাঙ্গা প্রযুক্তির কথা উল্লেখ না করলেও, তার ভবিষ্যদ্বাণী মানুষের মহাকাশ গবেষণার দ্রুত অগ্রগতির সঙ্গে মিলে যায়।

এলিয়েনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শুধু বিজ্ঞানের জন্যই নয়, ধর্ম, দর্শন এবং সমাজের জন্যও এক বিশাল পরিবর্তন নিয়ে আসবে। ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কাছে এই আবিষ্কার জীবন ও সৃষ্টির প্রশ্ন তুলতে পারে। বিজ্ঞানীরা নতুন করে এলিয়েন জীববিজ্ঞান বা মহাকাশীয় কূটনীতির পড়াশোনা শুরু করতে পারেন। অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, এই ঘটনা বিশ্ববাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, কারণ মানুষের অগ্রাধিকার রাতারাতি মহাকাশ নিরাপত্তা ও গবেষণার দিকে ঝুঁকে যেতে পারে।

বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে, এই ঘটনা ঘটবে এমন এক সময়ে, যখন গোটা বিশ্ব একসঙ্গে একটি ইভেন্টের দিকে তাকিয়ে থাকবে। ধারণা করুন, অলিম্পিকের ফাইনাল ম্যাচ বা বিশ্বকাপের সময় হঠাৎ টেলিভিশনের পর্দায় ভেসে ওঠে এলিয়েনদের অস্তিত্বের প্রমাণ! সালোমে বলছেন, এই ঘোষণা কোনো গোপন জার্নালে নয়, বরং সরকারি পর্যায়ে সবার সামনে প্রকাশিত হবে, যাতে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারে।

গত কয়েক বছরে পেন্টাগন ও নাসার মতো সংস্থাগুলো ইউএফও বা ইউএপি (অনিদেন্টিফায়েড এরিয়াল ফেনোমেনা) নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা শুরু করেছে। মার্কিন সরকার এমনকি এই বিষয়ে তদন্তের জন্য আলাদা দপ্তরও খুলেছে। সালোমের দাবি, ২০২৫ সালে এই তদন্তের ফলাফল বিশ্বের সামনে আসবে। হয়তো এলিয়েনদের ছবি, তাদের দেহের নমুনা বা মহাকাশযানের ধ্বংসাবশেষ দেখানো হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top