সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা কোয়াবের
প্রকাশিত:
২৯ অক্টোবর ২০২০ ০০:৫৪
আপডেট:
৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:৩৯

কোয়াবের সদস্য অপারেটরদের পাশ কাটিয়ে নতুন নতুন ক্যাবল অপারেটর নিয়োগের কারণে ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে খুন-খারাবী বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) নেতৃবৃন্দের। পাশাপাশি সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা করছে কোয়াব।
একটি বিদেশী পে-চ্যানেলের স্থানীয় এজেন্টের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়। এতে বক্তব্য রাখছেন কোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ। সাবেক সহসভাপতি এ বিএম সাইফুল ইসলাম, সাবেক মহাসচিব নিজামুদ্দিন মাসুদ। সভায় দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে ক্যাবল ব্যবসার সাথে জড়িত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রায় দুই যুগ ধরে দেশে ক্যাবল টিভি নেওয়ার্ক পরিসেবার ব্যবসা গড়ে উঠেছে। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সরকার অনুমোদিত দেশী-বিদেশী পে-চ্যানেল, ফ্রি-টু এয়ার চ্যানেলের পরিসেবা দিয়ে যাচ্ছি। এই শিল্পের ওপর প্রত্যক্ষ ও পলোক্ষভাবে ৫ লাখ লোকের রুটি-রুজি জড়িত। করোনার সময়েও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেবা চালু রেখেছি। এসময় জানাানো হয় দেশে চারটি পে-চ্যানেল রয়েছে। এরমধ্যে ‘যাদু ভিশন লিমিটেড’ ‘স্টার প্লাস, স্টার জলসা, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, স্টার গোল্ড, লাইফ ওকে’র পরিবেশক হিসেবে ক্যাবল অপারেটরদের সাথে গত দশ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু করোনাকালে করোনা আক্রান্ত একজন ব্যবসায়ীসহ কয়েকজন ক্যাবল ব্যবসায়ী এই পে-এই চ্যানেলের বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ‘যাদু ডিজিটাল’ নামে তাদের নিজস্ব অপারেটার নিয়োগের মাধ্যমে নিজস্ব ব্যবসার বিস্তার ঘটানোর অপপ্রয়াশে লিপ্ত। ‘যাদু ভিশন লিমিটেড’ এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত না হলে আমরা সারা দেশে ‘স্টার’-এর চ্যানেলসমূহ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।
সংবাদ সম্মেলন থেকে এজন্য স্টার পে-চ্যানেলের কর্ণধারকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেওয়ার পাশাপাশি তিন দফা দাবিনামা পেশ করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে ‘যাদু ভিশন লিমিটেড’ কর্তৃক বন্ধকৃত স্টার-এর সিগন্যাল চালু। পে-চ্যানেল নবায়ন ফি’ পরিশোধের ‘মানি রিসিপ্ট’ প্রদান ও যাদু ডিজিটাল কৃর্তৃক ক্ষতিগ্রস্থ বৈধ ক্যাবল অপারেটরদের ব্যবসা সমস্যার সমাধান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাববে এস এম আনোয়ার পারভেজ বলেন, আমরা চাই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক। এ জন্য ৭দিনের আলটিমেটাম দিয়েছি। আমরা সরকারের বিভিন্ন স্তরেও বিষয়টি অবহিত করেছি। সমস্যা সমাধানে তিনি সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান।
আরেক প্রশ্নের জবাবে এবিএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যাদু ভিশন লিমিটেড’ আইপি সিগন্যালের মাধ্যমে তাদের সংযোগ চট্টগ্রামে নিয়ে গেছেন এবং ‘যাদু ডিজিটাল’-এর মাধ্যমে গ্রাহক সংযোগ দিচ্ছেন। কিন্তু সরকার এখনো আইপি সিগন্যাল চালুর অনুমোদন দেয়নি।
তিনি বলেন, এভাবে স্থানীয় পুরাতন ব্যবসায়ী ও নতুন ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। অতীতে এমন দ্বন্দ্বে শত শত খুন-খারাবীর ঘটনা ঘটেছে। সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে এবং নতুনভাবে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে আবার ক্যাবল ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরোধ বাঁধানোর অপচেষ্টা হচ্ছে।
এসময় সাংবাদিকরা বকেয়ার পরিমাণ জানতে চাইলে জানানো হয়, সর্বনিম্ন বিশ হাজার থেকে ৬ লাখ পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে। কারা যাদু ডিজিটাল ও যাদু ভিশন লিমিটিড পরিচালনা করছে জানতে চাইলে জানানো হয়, ঢাকা উত্তরের সাবেক সফল মেয়র আনিসুল হকের ছেলে নাবিদুল হক। তারা বলেন, আমরা ব্যবসাকে স্বাগত জানাই কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার দাবি জানাই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: