মাথার দুটি শিং কাটতে গিয়েই মৃত্যু হলো ১৪০ বছরের 'গোট ম্যানের'
 প্রকাশিত: 
 ২৩ মার্চ ২০২৩ ১৩:৪৯
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ২২:৫৩
 
                                ১৪০ বছর বয়সে মৃত্যু হল বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ আলি অ্যান্টারের। ইয়েমেনের সবচেয়ে বয়স্ক এই ব্যক্তি তাঁর মাথার শিংয়ের জন্য জনপ্রিয় হয়েছিলেন। তাঁকে বলা হতো 'দ্য টু-হর্নড'।
ইয়েমেনের সংবাদপত্র আদেন আল-গাদ জানিয়েছে-১০০ বছর বয়সে আসার পর তার কপালের উভয় পাশে শিং- এর মতো বৃদ্ধি দেখা যায়। তাদের মধ্যে একটি ছিলো ছাগলের শিংয়ের মতো গোটানো আকৃতির ।
অপর শিং-টি প্রায় তার মুখের সমান ছিলো। মাথার দু’পাশে গজানো এই ‘শিং’-এর কারণেই গোটা বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছিলেন আলি।আদেন আল-গাদের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘শিং’-এর কারণে তাঁর সমস্যা বাড়তে থাকায় তা কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় আলির পরিবার।
সেই অস্ত্রোপচারের পরই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও আলির পরিবারের একজন সদস্য দাবি করেছেন যে বার্ধক্যজনিত কারণেই মারা গেছেন তিনি। যদিও কেউ কেউ বলছেন অঙ্গচ্ছেদই আলির মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করেছে।স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে বয়েস বাড়লেও আলি বেশ কর্মঠ ছিলেন, অনেক কিছুই মনে রাখতে পারতেন।
২০১৭ সালের দিকে এসে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।
তার ৭০টিরও বেশি নাতি-নাতনি রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। আলির কপাল থেকে বেরিয়ে আসা শিংগুলি চামড়াযুক্ত ছিল। ত্বকের এই শিং হল ত্বকের একপ্রকার টিউমার যা কেরাটিন দিয়ে তৈরি - কেরাটিন থেকেই চুল, নখ তৈরি হয় ।
এগুলি প্রিম্যালিগন্যান্ট বা ম্যালিগন্যান্ট ত্বকের ক্ষত থেকে উদ্ভূত হয় এবং বয়স্ক রোগীদের বা ফর্সা ত্বকের লোকেদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে, ত্বক সূর্যের সংস্পর্শে এলে UV বিকিরণের জেরেও এই ধরণের টিউমার হতে পারে । ১৯ শতকের প্রথম দিকে প্যারিসে বসবাসকারী একজন ফরাসি নারী মাদাম দিমানচে - এর ঘটনাটিও ছিল একটি বিরল ঘটনা।
৭৬বছর বয়সে এসে তার কপাল থেকে ২৪.৯ সেমি দীর্ঘ শিং বেরোয়, একজন ফরাসি সার্জন সফলভাবে সেটি অপসারণ করেছিলেন।
৭৪ বছর বয়সী একজন ভারতীয় কৃষকের মাথায় আঘাত লাগার পর ঠিক একইরকম শিং বেরোতে দেখা যায়। এগুলি বেশিরভাগ সময়ে বিনাইন হলেও কখনও কখনও ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
তাই ত্বকে এরকম সন্দেহজনক বৃদ্ধি চোখে পড়লেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। আলির মৃত্যুর আগে, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তির তালিকাভুক্ত করেছিল ১২৮ বছর বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকান নারী জোহানা মাজিবুকোকে। দুটি বিশ্বযুদ্ধ, স্প্যানিশ ফ্লু - এমনকি করোনভাইরাস জনিত মহামারী দেখার পর অবশেষে এই মাসের শুরুতে মারা যান জোহানা।

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: